Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অতি অল্প সময়ের মধ্যে মানুষ আরেকবার জেগে উঠবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩১ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৫২

ঢাকা: গণতন্ত্র ফেরাতে অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকবার জেগে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দূর্গাপূজা পরবর্তী এক সংবধর্না অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে দেখুন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি সেই আন্দোলনে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ যুক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ সবাই চায় এদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৮ হাজার মাইল দূর থেকেও তিনি যেভাবে আমাদেরকে নির্দেশনা দিচ্ছেন, যেভাবে দলকে পরিচালনা করছেন যেভাবে বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন আমি বিশ্বাস করি না শুধু, আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিল সেভাবেই জেগে উঠবে। এবং ভয়াবহ যে অসুর সেই অসুরকে তারা পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সবাই এখন বিপদে আছি, একটা সংকটে আছি, ভয়ংকর একটা সংকটে আছি। সেই সংকটটি হচ্ছে অস্তিত্বের সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষার সংকট, গণতন্ত্রের সংকট।’

‘এই সংকটকে কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের আন্দোলনের বিকল্প নাই। আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকে আমার দেশ ও জাতি সংকটে। ১৯৭১ সালের কথা আমরা সবসময় বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয়; কিন্তু স্বাধীনতার চেতনা কী? স্বাধীনতার চেতনা ছিল আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে- মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত করা, স্বাধীনতা চেতনা হচ্ছে সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেটাই আজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘একটা কথা খুব জরুরি সেই কথাটা হচ্ছে যে, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে কারোর-ই অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না। যে কথাগুলো এখানে দুয়েকজন বলেছেন। বিএনপির মূল কথাটা ছিল ইনক্লুসিভ পলিটিক্সের কথা। যেখানে ছিল হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান, খ্রিষ্টান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদ। সেই জাতীয়বাদ হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজ এখানে অনুপস্থিত। নিজের ইচ্ছায় নন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রথমে কারাগারে এখন তাকে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যার এখানে সশরীরে থাকার কথা। তিনি আজ মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে ৮ হাজার মাইল দূরে অবস্থান করছেন।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির অমলেন্দু দাস অপু, জয়ন্ত কুমার কুন্ড, মিল্টন বৌদ্ধ, তুরন দে, সুশীল বড়ুয়া, অপর্ণা রায়, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, নিপুণ রায় চৌধুরী, প্রয়াত নেতা গৌতম চক্রবর্তীর স্ত্রী দিপালী চক্রবর্তী, সুকৃতি কুমার মন্ডল, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

বিএনপি মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর