বিদ্যুৎ সংকটে বন্ধের পথে টঙ্গীর অধিকাংশ পোশাক কারখানা
১ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪০
গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে একাধিকবার লোডশেডিংয়ের কারণে পোশাক কারখানায় বেড়েছে ভোগান্তি। দিনে তিন থেকে চারবার লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে কল-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিল্প-কারখানার মালিকরা।
দত্তপাড়া এলাকার ‘বিএইচআইএস’ নামের পোশাক কারখানার ম্যানেজার সাইফুর রহমান সোহাগ জানান, যেহেতু নিজেদের জেনারেটর আছে। প্রতি ঘণ্টায় ১৯০ লিটার ডিজেল খরচ হচ্ছে। বিদ্যুৎ থাকলে সহজেই কাজ চলতো। বারবার লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ চলমান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সময়মত পণ্যগুলো ডেলিভারি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
আউচপাড়া এলাকার মাহতাব শাহ ফ্যাশনের মালিক বাদশা মিয়া। সাব-কন্ট্রাককে কাজ করে থাকেন তিনি। বলেন, ‘১০ বছর আগে কয়েকটা মেশিন নিয়ে কারখানা শুরু করি। গত কয়েক মাস ধরে প্রচুর লোডশেডিং হচ্ছে। এর ফলে সামনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। একবার বিদ্যুৎ গেলে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। বিদ্যুৎ চলে গেলে অপারেটররা কারখানা থেকে চলে যায়। আর ফিরে আসে না। এসময় অপারেটর পাওয়া খুব কষ্ট হয়। অপারেটর না থাকলে উৎপাদন সময় মত হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারখানায় ছোট একটা জেনারেটর আছে তা দিয়ে বেশি লোড সামলানো সম্ভব নয়। লোডশেডিংয়ের কারণে মাসের বেশিরভাগ দিনই কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’
খাপাড়া এলাকায় আর জে ফ্যাশনের কর্মকর্তা মো. হাসান বলেন, ‘বর্তমানে ৫০ জন কর্মচারী আছে কারখানায়। সাব কন্ট্রাককে কাজ করা হয় এখানে। দিনে কয়েকবার লোডশেডিং হয়। লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদনের অবস্থা বেহাল। বিদ্যুৎ না থাকলে উৎপাদন কিভাবে হবে। এর জন্য জেনারেটরে প্রতি ঘণ্টায় অনেক টাকার ডিজেল খরচ করতে হয়। এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় দেখছি না।’
ডেসকোর টঙ্গী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হেড অফিস থেকেই বিসিক ও আবাসিক এলাকায় লোডশেডিংয়ের সূচি দেওয়া হয়েছে। আমি সেটিই অনুসরণ করি। আপাতত পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।’
সারাবাংলা/এমও