Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যুব সমাজকে শক্তিতে পরিণত করতে কাজ করছে সরকার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২২

ঢাকা: দেশে কত প্রশিক্ষিত যুব শ্রেণি রয়েছে তার একটি ডেটাবেজ তৈরি করার পদক্ষেপ চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেটা হলে আমরা জানতে পারবো কর্মসংস্থান কাদের হয়েছে আর কাদের হয়নি। সেভাবে যারা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না, তারাও যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিতে চাই।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুবকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির দিকেই আমাদের দৃষ্টি। তাদের মধ্যে যে নেতৃত্বের গুণাবলী আছে সেগুলো যাতে বিকশিত হয়। তাদের প্রতিভা ও মনন যাতে বিকশিত হয় এবং তাদের কর্মক্ষমতা যেন দেশের কাজে লাগে, তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি প্রতি জেলা-উপজেলায় যুব কাউন্সিল গঠন করা হচ্ছে। তার মাধ্যমে তাদের একত্রিত করে, তারা যেন কাজ করতে পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে সে পদক্ষেপটাই নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, একটি প্রশিক্ষিত যুব শ্রেণি গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। আজকে আমাদের দেশে কত প্রশিক্ষিত যুব শ্রেণি রয়েছে তার একটি ডেটাবেজ তৈরি করার পদক্ষেপ চলছে। সেটা হলে আমরা জানতে পারবো কর্মসংস্থান কাদের হয়েছে আর কাদের হয়নি। সেভাবে যারা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না, তারাও যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিতে চাই।’

আজকে পৃথিবীর অনেক দেশ বয়োবৃদ্ধের দেশ হয়ে গেছে কিন্তু বাংলাদেশে আমাদের যুব তরুণরাই শক্তি। এই শক্তিশালী যুব ও তরুণ সমাজকে যথাযথভাবে আমাদের কাজে লাগাতে হবে বলেও মনে করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে কথা মাথায় রেখেই ২০০৮ সালের নির্বাচনের যে চেয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম সেখানে যুবকদের জন্য আলাদা একটা কলাম রাখি। সেখানে স্লোগান ছিল তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অর্থাৎ তারুণ্যের শক্তিটা কাজে লাগেই আমরা আগামী দিনের সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

আত্মকর্মসংস্থানে প্রতিষ্ঠিত যুবকরা ভূমিকা রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আসন্ন দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুব সমাজকে শক্তিতে পরিণত করতে কাজ করছে সরকার।’

আগামী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুবকরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুবকরাই অস্ত্র হাতে নিয়েছিল। আমরা বীরের জাতি। আমাদের বীরের জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে হবে। কারও কাছে মাথা নত করা যাবে না। করোনাকালীন সময়ে আমি দেখেছি, চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে যুবকরাই সব কাজে এগিয়ে এসেছে। এটা কিন্তু গর্বের বিষয়। নতুন নতুন আবিষ্কার বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এটা আমাদের যুবকরাই করবে। আমাদের যুবকরা এতো বেশি মেধাবী, তারা সব কাজে অবদান রাখতে পারবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুব উন্নয়ন কেন্দ্র লেখা থাকে জাতীয় যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রতিষ্ঠানে। সেখানে আমি নিজে গিয়েছিলাম দেখেছিলাম দুর্বস্থার চিত্র। সরকার গঠন করে সেগুলোকে আমরা উন্নতি করেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় পর্যায় পর্যন্ত যুবকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। তারা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তাদের সফলভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা যাতে হয় সেদিকে আবার বিশেষভাবেই নজর রাখছি।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে যুবকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সর্ব্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে লাল-সবুজের একটি নতুন দেশ সৃষ্টি করে এ দেশের যুবসমাজ। যুবদের তিনি সংগঠিত করেছিলেন দেশপ্রেমের মহান দীক্ষায়। জাতির পিতা স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশ পুনর্গঠনেও যুবসমাজকে কাজে লাগান এবং শিক্ষিত ও কর্মদক্ষ যুবসমাজ সৃষ্টিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন ও রূপরেখা প্রণয়ন করেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীচক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশের যুবসমাজকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার পথে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়।’

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ হাসান রাসেল অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

জাতীয় যুব দিবস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব সমাজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর