স্কুলছাত্র মেহেদী হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
১ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৫
ঢাকা: পল্লবী এলাকায় মেহেদী হাসান (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৫ মাস কারাভোগ করতে হবে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন-ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, শাহিনুর বেগম, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, নান্নু মিয়া, ইমরান ও রাশিদ। আসামিদের শাহিনুর বেগম ও নান্নু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ওলি বাংলাদেশি। অপর সাতজনই বিহারি।
বিচারক আদেশে বলেন, এটি একটি হত্যা মামলা। যার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। তবে আসামিদের বয়স কম হওয়ায় এবং পূর্বে কোনো মামলা মোকাদ্দমা না থাকায় মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হলো।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১১ অক্টোবর রায়ের তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজী মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করতেন। আসামি নান্নু ও শাহিনুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বাসার পাশেই মোশারফ হোসেনের বাসা। স্থানীয় লোকজনসহ তিনি মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন।
২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওলি মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যায়। তার ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানায়। সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন পল্লবী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান।
বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সারাবাংলা/এআই/এনইউ