১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দাবি
২ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৫১
ঢাকা: আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বীকৃতি বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
বুধবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। স্বীকৃতি বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের অবিলম্বে স্বীকৃতি প্রদান, শিক্ষার সব স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা, চাল-ডাল-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ১. স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও যেসব মুক্তিযোদ্ধা এখনও স্বীকৃতি বঞ্চিত রয়েছেন, তাদেরকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বীকৃতি প্রদান, ২. মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের শিক্ষা সংস্কৃতি বিনষ্টের মাধ্যমে ভিন্ন দেশ ও ধর্মের শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রবর্তনের চক্রান্ত বাতিল করে চক্রান্তকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, ৩. নৈতিকতা সম্পন্ন অপরাধমুক্ত আদর্শ দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে মুসলিম ছাত্রদের জন্য ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ৪. ভোজ্যতেল, চিনি-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি রোধ করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা, ৫. দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির শত্রু দুর্নীতিবাজ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটকারী এবং বিদেশে অর্থপাচারকারীদের পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরা, ৬. শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা, ৭. গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও চুরি বন্ধ করে আবাসিক গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ করা, ৮. রেমিটেন্সযোদ্ধা প্রবাসীদেরকে বিমান বন্দরে হয়রানী বন্ধ করা এবং প্রবাসে বাংলাদেশের দূতাবাস সমূহে প্রবাসীদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ