Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুবলীগের সভাস্থলে যেতে ‘লিফটে ওঠা’ নিয়ে হাতাহাতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ নভেম্বর ২০২২ ২০:২৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যুবলীগের এক কর্মসূচি শুরুর আগে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি ও ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহক এবং বই বিপণী প্রতিষ্ঠান ‘বাতিঘরের’ কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

যুবলীগের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১১ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশকে সামনে রেখে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের পদপ্রত্যাশীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমানসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা পৌনে ১২টার দিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। তখন স্লোগান দেওয়া ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে যাওয়া নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রেসক্লাবের অষ্টম তলায় বঙ্গবন্ধু হলে চলে যাওয়ার পর লিফটের সামনে নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় প্রেসক্লাবের নিচতলায় রাখা সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকার একটি চিঠির বাক্স ভাংচুর করা হয়। পরে জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

হাতাহাতিতে লিপ্ত নেতাকর্মীরা নুরুল আজিম রনি ও ফজলে রাব্বী সুজনের নামে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ‍নুরুল আজিম রনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আমার গ্রুপ বলে নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। বাস্তবে হাতাহাতিতে জড়িত একজনের নামও বলতে পারবে না, যে রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে থাকে। কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া মানে বিচারের আগে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া। কেউ যদি আমার নাম বলে নিজেকে বড় করতে চায়, তাহলে আমার কী করার আছে!’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘লিফটে ওঠার জায়গাটা ছিল একদম ছোট। সেখানে কয়েকজন ছোট ভাইয়ের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়েছে। আমি নিজে উপস্থিত থেকে মিটমাট করে দিয়েছি। ছোট ভাই বলতে, যারা রনির ছোট ভাই তারা আমারও ছোট ভাই। আবার যারা আমার ছোট ভাই তারা রনিরও ছোট ভাই। ছোটখাটো একটা ঘটনা নিয়ে তিলকে তাল বানানো হয়েছে।’

নুরুল আজিম রনি ও ফজলে রাব্বী সুজন উভয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

জানতে চাইলে নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘মারামারির খবর পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। ততক্ষণে কেউ ছিল না। সবাই ওপরে সভাস্থলে চলে গিয়েছিল। নিজেদের মধ্যেই মিটমাট হয়ে গেছে। এরপর সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রেসক্লাবে ছিলাম। আর কোনো সমস্যা হয়নি।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

টপ নিউজ যুবলীগ সভাস্থল হাতাহাতি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সালমান শাহ্‌ স্মরণে মিলাদ মাহফিল
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩

নাফ নদীর মোহনায় ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯

সম্পর্কিত খবর