শেয়ার হস্তান্তরের বিধান রেখে পেট্রোবাংলা বিল পাস
২ নভেম্বর ২০২২ ২২:২৬
ঢাকা: দেশ-বিদেশের যে কোনো উৎস, ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়াসহ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তি ও শেয়ার হস্তান্তরের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ করপোরেশন’ আইন- ২০২২ বিল পাস করেছে জাতীয় সংসদ। বিলে জনস্বার্থে ও বাণিজ্যিক বিবেচনায় কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পরিচালনা পরিষদকে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্বে সংসদের ২০তম অধিবেশনে বুধবার বৈঠকে সংসদে স্থিরকৃত আকারে বিলটি পাস হয়।
এর আগে, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও বিএনপির রুমিন ফারহানার সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। পরে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গত ৫ জুন বিলটি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন।
১৯৮৯ এর ভিত্তি আইন ‘বাংলাদেশে অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল করপোরেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫’ রহিত করে সংশোধিত ও পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় আইনটি প্রণীত হয়েছে।
বিলে রহিত অধ্যাদেশ বলে সম্পাদিত ‘পেট্রোবাংলা’ সব কার্যাবলিকে বৈধতা ও সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিলে পরিচালনা পরিষদ জনস্বার্থে বাণিজ্যিক বিবেচনায় এর দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করবে। করপোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনকালে ‘জনসেবক’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন হবে ২ শত কোটি টাকা। সরকার গেজেট দ্বারা মূলধনের পরিমাণ হ্রাসবৃদ্ধি করতে পারবে। করপোরেশন সরকারের ভতুর্কি, সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশি-বিদেশি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো উৎস বা ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করে মূলধন বাড়াতে পারবে। বিলে শেয়ার হস্তান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। করপোরেশনের সব শেয়ার সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করতে পারবে। এছাড়া অধীনস্থ কোম্পানি থেকে লেভি, ফি, চার্জ, আদায় করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতি বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশে অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল করপোরেশন (বিওজিসি) ও বাংলাদেশ মিনারেল এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে (বিএমইডিসি) একীভূত করে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন’ (বিওজিএমসি) গঠন করা হয়। পরে ১৯৮৯ সালে আশিংক সংশোধনের মাধ্যমে এই কর্পোরেশনকে ‘পেট্রোবাংলা’ নামকরণ করা হয়। ওই অধ্যাদেশের মাধ্যমে তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়নের উদ্দেশ্য গঠিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আদালতের নির্দেশে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বরের মধ্যে জারিকৃত বিলুপ্ত সব অধ্যাদেশের মধ্যে যেসব আবশ্যিক বিবেচিত হবে সেগুলো সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাংলা ভাষায় প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। ‘বাংলাদেশে অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল কর্পোরেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫’ রহিত করে সংশোধন ও পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ কর্পারেশন’ শীর্ষক আইনের খসড়া বিল প্রণয়ন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে