Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে বিমানের এমডি জড়িত থাকার ইঙ্গিত ডিবি প্রধানের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৩০

ঢাকা: গত ২১ অক্টোবর জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে বিমানের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ও জিএম (মহাব্যবস্থাপক) অ্যাডমিনের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

প্রশ্ন ফাঁসের জড়িত থাকার অভিযোগে সংস্থাটির নিম্নপদস্থ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর তাদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দির পর এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২১ অক্টোবর পরীক্ষার দিন সকালে রাজধানীর কাওলা, বিমানবন্দর ও উত্তরা এলাকা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা জানায়, কোথায় কিভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়।

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তার বিস্তারিত তথ্য জানায়। এরপর তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে বিমানের নিম্ন পর্যায়ের ৫ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা জানায়, ১৯ অক্টোবর বিমানের এমডির অফিসের সহকারী জাহিদ প্রশ্নপত্র ফটোকপি করেন এবং ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে নেন। পরদিন ২০ অক্টোবর কয়েক হাজার ফটোকপি করার জন্য আরও দুইজনকে প্রশ্নপত্রের কপি সরবরাহ করা হয়। এই সিন্ডিকেটে অনেকেই জড়িত। তারা প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিনিময়ে স্ট্যাম্প করেন। কারও কাছে অগ্রিম টাকা নেন। আবার কারও কাছ থেকে অগ্রিম ফাঁকা চেক নেন।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় ৫০ লাখ টাকা প্রাথমিকভাবে লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে। টাকার পরিমাণ কয়েকশ কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আর কারা জড়িত জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থার নিয়োগের সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত শেষে শিগগির আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।

বিমানের এমডি কিভাবে জড়িত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমডি হিসেবে যা যা দায়িত্ব ছিল তা তিনি পালন করেননি। অন্যদিকে জিএম অ্যাডমিনেরও যা দায়িত্ব ছিল তাও প্রতিপালন হয়নি। এমডির অফিসের সহকারী কিভাবে ফোন দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলেন, ফটোকপি করেন। তাই তারাও দায় এড়াতে পারেননি।

সারাবাংলা/ইউজে/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর