সুখবর দিলো শাহবাজপুর, মজুদ ৮ হাজার কোটি টাকার গ্যাস
৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৮
ঢাকা: দ্বীপ জেলা ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের কূপ ‘টবগী-১’ এ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কূপটিতে ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। যার মূল্য ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, কূপটি দ্রুত উৎপাদনক্ষম করার জন্য আগামী ৭ নভেম্বর থেকে কমপ্লিশন ও ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন কার্যক্রম শুরু করা হবে। বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের মধ্যে এই সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এ নিয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ থেকে ২০২৫ সাল সময় কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্সের তত্তাবধায়নে নেওয়া গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে গত ১৯ আগস্ট ভোলা জেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী-১ কূপে ৩৫০০ মিটার গভীরতা খনন কাজ শুরু হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৩৫২৪ মিটার গভীরে খনন কাজ শেষ হয়।’
প্রতিদিন ভোলা থেকে ঢাকায় আসবে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
এরপর কূপে সম্ভাব্য গ্যাস মজুদ ও উৎপাদন হার জানতে কারিগরি পরীক্ষামূলক টেস্টিং (ডিএসটি) কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হয়। প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ পরিচালিত ডিএসটি কার্যক্রমে এই কূপ থেকে গড়ে দৈনিক ২০ (°০.২০) মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস ফ্লো টেস্ট করা হয়েছে, যা আশাব্যঞ্জক।
শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে টবগী-১ কূপ এলাকা আনুমানিক ৩.১৭ কিমি দূরে অবস্থিত। ভূতাত্ত্বিক তথ্য এবং ডিএসটি রিপোর্ট অনুযায়ী এ অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ প্রায় ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় এই কূপ হতে ৩০-৩১ বছর গ্যাস উৎপাদন সম্ভবপর। টবগী-১ কূপে গ্যাসের বর্ণিত মজুদ বিবেচনায় গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮০৫৯.০৮ কোটি টাকা, যা এলএনজি আমদানি মূল্য বিবেচনায় বহুগুণ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের আওতায় আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও ২টি কূপ (ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২) খনন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে ৩টি কূপ হতে সর্বমোট দৈনিক ৪৬ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে পারে। অন্যদিকে সিলেট গ্যাসফিল্ড ও বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডও ৪৬টি কূপ খনন করবে।
তিনি বলেন, ‘শেভরন, নাইকোসহ অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আমরা আশা করছি, আমাদের সিস্টেমে তিন থেকে চার বছরের মাথায় ৭ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হবে। তখনও যে ঘাটতি থাকবে তা বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও