‘ডিএনসিসি হাসপাতালে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু’র চিকিৎসাও চলছে’

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অসময়ে বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। তাই ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। এখানে করোনা আক্রান্ত ও ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা জোনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মহাখালীতে ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে মানুষকে চিকিৎসা দিতে আমরা ডিএনসিসি মার্কেটকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করি। মার্কেট থেকে আমরা ২০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারতাম। টাকার দিকে না তাকিয়ে মানুষের সেবার দিকে গুরুত্ব দিয়ে ২৫৮টি দোকানের বরাদ্দ বাতিল করে দিই। আমরা এক হাজার বেডের হাসপাতালটি নির্মাণ করি। এখানে ২১২টি আইসিইউ বেড রয়েছে। করোনা রোগীর সংখ্যা এখন অনেক কম। আমরা এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছি।’

ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার আহ্বান জানান ডিএনসিসি মেয়র। তিনি বলেন, ‘জনগণের চিকিৎসা সেবা বাড়াতে ডিএনসিসি এলাকায় ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে। ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালকে জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে। ৫৪টি ক্লিনিকে জনসাধারণ প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারবে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ডিএনসিসি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণের সচেতনতা সবেচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমরা সিটি করপোরেশন থেকে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছি, অভিযান পরিচালনা করছি। দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু বাড়িতে বা নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা করে আসার কিছুদিন পর ফের লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এখন থেকে আর ছাড় নেই। কোনো ভবনে দ্বিতীয়বার অভিযানে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করতে এবং অন্যান্য সমস্যা জানতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শুরু করেছেন বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু পুরপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে সচেতনতা কার্যক্রম ও অভিযান চলমান থাকবে।’

পরিদর্শনের সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র শুরুতেই হাসপাতালটি ঘুরে দেখেন। এর পর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পাশে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন, খোঁজ-খবর নেন।

পরিদর্শনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগে. জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান এবং ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম