বরিশালে পরিবহন বন্ধের অজুহাতে বেড়েছে সবজির দাম
৫ নভেম্বর ২০২২ ১২:৪৮
বরিশাল: প্রথমে বাস, পরবর্তীতে তিনচাকার বাহন (থ্রি-হুইলার ও ইজিবাইক) বন্ধ ঘোষণার পর অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে সব প্রকার যানবাহন বরিশালে প্রবেশ বন্ধ করা হয়। ফলে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) থেকে পরিবহন বন্ধের অজুহাতে অবরুদ্ধ বরিশালের সব কাঁচাবাজারেই প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
সাধারণত সবজির দাম প্রায় সময়ই ওঠা-নামা করে কিন্তু পরিবহন বন্ধের ঘোষণার পর থেকে বরিশালে প্রায় সব সবজির দামই বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। আর দুই সপ্তাহ পরও কাটেনি চিনির সংকট। শিম, মুলা, ফুলকপি-বাঁধাকপিসহ কাঁচাবাজারে ওঠা শীতকালীন নানা সবজির দামও চড়া।
এক কেজি শিম কিনতে গুণতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মুলা ৪০ আর টমেটোর কেজি ১২০ টাকা। ছোট ফুলকপি-বাঁধাকপির দাম ৫০ টাকার ওপরে। ২০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বাড়তি এই দামের জন্য বিক্রেতারা ধর্মঘটের কথা বললেও তা মানতে নারাজ ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ধর্মঘটের কারণে বরিশালে কাঁচামালামাল আসছে না বলে দাম একটু বেশি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দোকানে দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় কিংবা বস্তা ভর্তি বাজারের নিয়মিত চিত্র দেখা যায়নি। বাজারে ছিল উল্টা চিত্র। গুটিকয়েক মানুষের আনাগোনা, বেচা-বিক্রির তেমন কোনো চাপ নেই।
ক্রেতারা জানান, সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের অবস্থা খুবই খারাপ। সংসারের খরচ কমাতে কমাতে আর আর পারছেন না। এরমধ্যে ভোজ্যতলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম আর কত বাড়লে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ঠিক বুঝে ওঠা যাচ্ছে না।
এদিকে দোকানীরা বলছেন, শীতের মৌসুম শুরু হলেও ৬০-৭০ টাকার নিচে এখন কোনো সবজি মেলে না। এখন পরিবহন বন্ধ থাকায় একদিকে দেখা দিয়েছে পণ্য সংকট অপরদিকে আকাশচুম্বী দামে কমছে ক্রেতার সংখ্যা।
নগরীর পোর্টরোডে কাঁচামাল পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকের এক চালক বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে বরিশাল আসতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। অনেক চালক তো আসতেই চান না।’
সারাবাংলা/ইআ