‘বরিশালে ৬ জেলার চেয়ে ঢাকায় ৬ থানার জমায়েত বেশি’
৫ নভেম্বর ২০২২ ১৮:২০
ঢাকা: রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে ছয় থানার লোক দিয়েই বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছয় জেলার চেয়ে দ্বিগুণ জমায়েত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আজকের এই ছয় থানার জমায়েত, ছয় জেলার চেয়ে বেশি। আমার সামনে মিছিলের মাথা কোথায় জানি না, দেখছি আর দেখছি। আমার পেছনে আমেরিকান অ্যাম্বাসি পর্যন্ত লোক আর লোক।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র নৈরাজ্য সহিংসতা ও আগুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। একটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ করে শান্তি সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এই মাত্র কুমিল্লা থেকে আসলাম। কুমিল্লা মহানগর সমাবেশে বিশাল জমায়েত। ভেতরে যা লোক, বাইরে আরও তিনগুণ বেশি। ঢাকায় এসে দেখছি এক বিশাল জনস্রোত। এখানে এসে বরিশালের কথা ভাবছি। ফখরুল সাহেব ছয় জেলার লোক টাকা-পয়সা দিয়ে চারদিন আগে থেকে বরিশালে এনে রেখেছেন। আর এখানে ছয় থানার লোক। যা বরিশালের চেয়ে ডাবল।’
বিএনপিকে নালিশ পার্টি আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। বিদেশিরাই এখানে থাকে। এখন তারা দেখুক, কার কত শক্তি?’ খেলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মোকাবিলা হবে, আন্দোলনে হবে, নির্বাচনে হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড সেই বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপেক্ষা করুন। সামনে ডিসেম্বর মাস। আপানারা নাকি ডিসেম্বরে আমাদের হটিয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে খোমিনি স্টাইলে বিপ্লব করবেন। ঢাকার রাজপথে এই রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে যাবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডিসেম্বরে শেষ খেলা হবে। আন্দোলনের খেলা। আগামী বছর ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনের খেলা হবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাবেন, ভুলে যান। নির্বাচন করে আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামান।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে ছাড়ব না। এই রাজপথ মুক্তিযুদ্ধের মাসে বিএনপির থাকবে না। এই রাজপথ আওয়ামী লীগের রাজপথ, মুক্তিযুদ্ধের রাজপথ, বিজয়ের চেতনার রাজপথ।‘
পরে প্রতিবাদ মিছিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। তখন নেতারা মিছিল সহকারে মধ্য বাড্ডা ইউলুপ হয়ে আমেরিকান আম্বাসি সামনে দিয়ে নতুন বাজারের দিকে যাত্রা শুরু করেন। নতুন বাজারে গিয়ে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয়।
এর আগে, দুপুর দেড়টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত থানা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে এসে যোগ দেয়। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যানজট ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্থানীয় এমপি একেএম রহমতউল্লাহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম