Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইএমএফ এর শর্তের বৈষম্যমূলক প্রভাব বিবেচনায় টিআইবির উদ্বেগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ নভেম্বর ২০২২ ২২:০২

ঢাকা : বাংলাদেশকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর কিছু শর্তের বৈষম্যমূলক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে নিজস্ব নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহনে আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার ( ৪ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি সংস্কারের মতো কিছু শর্তের সম্ভাব্য অসম প্রভাবের বিষয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে টিআইবি। সংস্থাটির মতে, শর্তের পুরো প্যাকেজকে এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত চাপে থাকা সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাব আরও বেড়ে না যায়।

বিজ্ঞাপন

বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির নীতিগত বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ঋণ আলোচনায় আইএমএফ নিজস্ব নীতি বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কার্যকর কৌশলগত বিষয়ে মনোযোগ দিতে হতাশাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো না নিয়ে তৈরি করা শর্তের প্যাকেজ কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জন করবে এমন সম্ভাবনা কম। বরং এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত চাপে থাকা দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাবের বাড়তি বোঝা তৈরি হবে।’

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন,‘আইএমএফ-এর ঋণ প্রদান ব্যবসার অপরিহার্য বাস্তবতা হচ্ছে তাদের দেওয়া শর্তসমূহ, যা প্রায়শই কঠিন এবং অপ্রীতিকর হয়। তবে প্রশ্ন হলো, শর্তের প্যাকেজ কি জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয় নাকি তা জনগণের জন্যই বিপরীতমুখী ফল বয়ে আনে?’

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের নিম্ন কর-জিডিপি অনুপাত নিয়ে উদ্বেগ যথার্থ। কিন্তু প্রধানত ভ্যাটের ওপর আইএমএফ-এর প্রস্তাবিত কৌশলের নির্ভরতা উদ্বেগজনক, যার বৈষম্যমূলক প্রভাব সর্বজনবিদিত। অন্যদিকে, শর্তসমূহে ব্যাপক কর ফাঁকি এবং অর্থ পাচার, বিশেষ করে মিস ইনভয়েসিং-ভিত্তিক অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপের কোনো ইঙ্গিত নেই। দেশে ও দেশের বাইরে আর্থিক লেনদেনের তথ্যের স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের জন্য কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ করা সম্ভব হতো।’

ড. জামান বলেন, ‘আইএমএফ দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার রোধে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা এই প্রতিষ্ঠান নিজেদের সম্পর্কে যা প্রচার করে, তা অনুশীলনও করবে।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

আইএমএফ টিআইবি

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর