Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেমিট্যান্স থেকে কোনো চার্জ নেবে না ব্যাংক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৮

ঢাকা: প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে কোনো ধরনের চার্জ নেবে না ব্যাংকগুলো। শুধু তাই নয়, ছুটির দিনেও প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। সেজন্য বিদেশে থাকা এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো খোলা রাখা হবে। সোমবার (৭ নভেম্বর) থেকে নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

রোববার (৬ নভেম্বর) সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।

বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাফেদা ও এবিবি‘র যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেমিট্যান্সের ওপর চার্জ মওকুফ করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সে কোনো ধরনের চার্জ নেবে না। ফলে কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই বিদেশ থেকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা যেন সপ্তাহের সাতদিন রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন সেজন্য এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বিদেশে থাকা দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

আফজাল করিম বলেন, ‘রফতানি আয় নগদায়নে ডলার রেট বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এতদিন ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা ছিল। তবে রেমিট্যান্সের রেট আগের মতো সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা বহাল রাখা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ডলার সংকট নিরসনে গত ২৩ অক্টোবর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়। আর রফতানি বিল ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়।

এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা প্রবাসী আয়ে নির্ধারণ করা হয়। রফতানি আয়ে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তার আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্যাংকারদের সভায় এক্সপোর্ট প্রসিডে ৯৯ টাকা ও রেমিট্যান্সের ডলার ১০৮ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে এখন বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগে না। আবার প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

উল্লেখ্য, সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে না। বরং ধারাবাহিকভাবে কমছে প্রবাসী আয়। সদ্য বিদায়ী অক্টোবরে ১৫২ কোটি ডলারের সমপ‌রিমাণ বৈ‌দে‌শিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অংক গত ৮ সাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। প্রণোদনা বাড়ার পরও সর্বশেষ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে বড় পতন হয়।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

চার্জ ব্যাংক রেমিট্যান্স

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর