চার জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ
৭ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৩২
ঢাকা: বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে ১৫ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অপর এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই চার জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে বিবাদীদের নিশ্চয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ইটভাটা প্রস্তুত আইনের ধারা ৪, ৮, ১৪ এবং ১৮ অনুসারে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট পরিচালক, বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ ২৪ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে লাইসেন্স ব্যাতিত কোন ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না, এমন বিধান থাকলেও কয়েকটি জেলায় শীত মৌসুম সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও রিপন বাড়ৈ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
আজ ওই রিটের শুনানি শেষে চার জেলার ডিসিকে সাত দিনের মধ্যে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে
