‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীদের বিচারে তদন্ত কমিটি হবে’
৭ নভেম্বর ২০২২ ২১:৫৯
ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীদের বিচারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, যারা কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে তাদের বিচার এই দেশে হবে। এর জন্য একটা তদন্ত কমিটি হচ্ছে।
সোমবার (৭নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের আয়োজনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি, তাদের পরিবারের লোকজন জীবিত অবস্থায় হত্যার বিচার দেখে যাবে। কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলেছেন- তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। নির্বিচারে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার পর তাড়াতাড়ি লাশ কোথায় দাফন করা হয়েছে তাদের পরিবারও তা জানে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছি। বিচারের পর লাশ তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। এটিও তারা পায়নি।’
ওই সময় যারা ক্যু করেছিল ও মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি উল্লেখ করে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোনো বইয়ে জিয়াউর রহমানের যুদ্ধ নিয়ে, যুদ্ধ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না। কারণ তিনি যুদ্ধের যাননি। পরে দেশে ফিরে এসে প্রথম দিন থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। না হলে তারা বেছে বেছে কেন মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করল? জাতির পিতাকে কেন তারা হত্যা করল? কেন জাতীয় চার নেতাকে তারা জেলের ভেতর হত্যা করল? যে দল একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, হত্যা-ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, তাদের স্বাধীন দেশে রাজনীতি করতে দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিচরপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তাদের শেষ করে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি প্রভুদের নির্দেশনা ছিল। এই খুনি জিয়া তার রাজত্ব শুরু করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। খুনি জিয়া তার পাকিস্তানি প্রভুদের নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে। সেখানে প্রায় ১৫শ মুক্তিযোদ্ধাকে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। বিচারের বিন্দুমাত্র উপাদানও সেখানে ছিল না। এমনকি হত্যার পর লাশগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে দেওয়া হয়নি।’
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি সভাপতির মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্ব প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার শহিদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তমের কন্যা মাহজাবিন খালেদ, কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রমের কন্যা নাহিদ ইজাহার খান এমপি প্রমুখ।
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম