Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কারারক্ষী নিয়োগে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা: হাইকোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ নভেম্বর ২০২২ ১৪:১২

ঢাকা: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি এবং এ রকম অন্তত ৮৮ জনের নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। কারা মহাপরিদর্শককে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) একজনের নামে আরেকজন কারারক্ষী পদে চাকরি করার অভিযোগে করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

চলতি বছরের ৩১ জুলাই ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!’ শিরোনামে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করেন ভূক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। আর এরইমধ্যে জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেছে।

পরে সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে জহিরুল ইসলাম চাকরি ফিরে পেতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু সে আবেদনের পর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন জহিরুল ইসলাম।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

কারারক্ষী নিয়োগে অনিয়ম হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর