বনজ কুমারের মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার
১০ নভেম্বর ২০২২ ১১:৩৯
ঢাকা: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউট আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম বাবুলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। দুপুরের দিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে রিমান্ড বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গতকাল বুধবার বাবুল আক্তারকে ফেনীর কারাগার থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে আনা হয়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কারাগার থেকে তাকে সিএমএম আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির আগে ১১ টার দিকে এজলাসে তোলা হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
এর আগে, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী ‘সাংবাদিক’ ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। এ ছাড়া বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরেট নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সারাবাংলা/এআই/এনএস