ঢাকা: ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা জানেন। কারণ, ঘটনার দিন তারা একসঙ্গে ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রেমসহ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।’
ফারদিন হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ গোলাম মউলা।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত ৪ নভেম্বর দুপুর ৩ টার দিকে ফারদিন পরীক্ষার জন্য বুয়েটের উদ্দেশ্যে বের হন। ফারদিনের সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় বাবা নুর উদ্দিন রানা বুয়েটে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার মোবাইল বন্ধ।
এ অবস্থায় ভিকটিমের বাবা রামপুরা থানায় ৫ নভেম্বর একটি জিডি করেন। ফারদিন বাসা থেকে বের হওয়ার দিন থেকে বিকেল পর্যন্ত বুশরার সঙ্গে সময় কাটিয়েছে। প্রথমে তারা সিটি কলেজের কাছে সাক্ষাত করে।
পরবর্তীতে নীলক্ষেত, ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে এবং বিকেল ৫ টার দিকে ‘ইয়াম চা ডিস্ট্রিক’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খায়। পরে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছে। ৪ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে রিকশায় রামপুরা থানাধীন টিভি ভবন সংলগ্ন এলাকায় আসে।
এদিকে, তিনদিন খোঁজাখুঁজির পর ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফারদিনের বাবা খবর পান, তার ছেলের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নৌ-পুলিশ উদ্ধার করেছে। পরে তিনি ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, আসামির সাথে ভিকটিমের প্রেমসহ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন তারা একত্রে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাফেরা করেছে। ফারদিনের হত্যার ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। এই ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর। আসামি বুশরাই একমাত্র ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানে। কারণ ঘটনার দিন তারা একত্রে অবস্থান করছিলেন।
ভিকটিমকে কয়জন মিলে হত্যা করেছে; কিভাবে, কোথায়, কোন অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং কিভাবে, কোন স্থান থেকে ভিকটিমের লাশ নদীতে ফেলানো হয়েছে, কী কারণে ভিকটিমকে হত্যা করা হয়েছে, এসব তথ্য উদঘাটনের জন্য আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করা হয়।