Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোক্তা অধিকারের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে: ভোক্তার ডিজি

সারাবাংলা প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৫৭

ঢাকা: ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভোক্তা অধিকারের নামে নানা সংগঠন দাঁড়িয়েছে, যারা ব্যবসায়ীদের নোটিশ দিচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে। এতে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে।

প্রতারকরা বিকাশের মাধ্যমে টাকা চাইছে বলে তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। র‌্যাব পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অবিহিতকরণ’ সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ সংস্কার হচ্ছে। নতুন আইনের খসড়ায় জরিমানা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আইনে ই-কমার্স বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে, যার ফলে ই-কমার্স প্রশ্নে চলমান নানা অভিযোগ নিস্পত্তি করা সহজ হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছি। ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা মাজিস্ট্রেট নন, তাদের বিচারিক ক্ষমতা নেই। তারা শুধু এ আইনে জরিমানা করতে পারেন। বাদী হয়ে মামলা করতে পারেন। নিজে শাস্তি দিতে পারেন না।’

এক প্রশ্নের জবাবে ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘প্রসাধনীর ক্ষেত্রে প্রতারণার ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। বৈধভাবে এ ব্যবসায় অনীহা রয়েছে। দেশের ভিতরেও কিছু ভেজাল পণ্য তৈরি করা হচ্ছে।’

রেস্তোরাঁর খাবারের মান ও দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য বলতে যা বোঝায়, তা কোনো রেস্টুরেন্টই সার্ভ করে না। কোনো সুরক্ষার মানদণ্ডই তারা মানে না।’

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণকে আরও সচেতন করে তোলার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘দেশবাসীর অধিকার সংরক্ষণে জাতীয় প্রেস ক্লাব সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভোক্তা অধিকারে সচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের বিকল্প নেই। সাংবাদিকরা নিজেরা যেমন তাদের অধিকারে সচেতন, তেমনি তারা জনগণকেও সচেতন করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই দিনশেষে ভোক্তা। বাজারে পণ্য কিনতে গেলে আমাদের নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। আইনে কী আছে, সেটা জানতে হবে। ভোক্তা আইনটি এখন সংস্কার প্রয়োজন। আইনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘ভোক্তাকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রতারিত হলে অভিযোগ দিতে হবে। সাংবাদিকদেরও এ আইনে প্রচার করতে হবে, যেন মানুষ প্রতারণার প্রতিকার পায়।’

অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ভোক্তার সহকারী পরিচালক তাহমিনা আক্তার।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রশিক্ষণ ও পেশার মান উন্নয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ভানু রঞ্জন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম বক্তৃতা করেন। এ সময় যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আফরোজা রহমান এবং সিনিয়র সাংবাদিকসহ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইআ

চাঁদাবাজি ভোক্তা অধিকার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর