Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিপন্ন-বিলুপ্ত’ সজারু-লজ্জাবতী বানরও রেহাই পাচ্ছে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে কালেভদ্রে বিলুপ্তপ্রায় লজ্জাবতী বানরের দেখা মিললেও সচরাচর দেখা যায় না বললেই চলে বিপন্নপ্রায় সজারুর। শুধু গুটিকয়েক সংরক্ষিত বনে এখন কিছু সজারু টিকে আছে। কিন্তু পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না এই দুটি বন্যপ্রাণীও। পার্বত্য এলাকা থেকে এসব বন্যপ্রাণী ধরে কক্সবাজার কিংবা চট্টগ্রাম দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার করে দিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

বিজ্ঞাপন

এভাবে একটি সজারু ও ২টি লজ্জাবতী বানর পাহাড়ী জঙ্গল থেকে ধরে পাচারের জন্য নিয়ে যাবার সময় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে হানিফ পরিহনের একটি বাসে তল্লাশি এসব বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে পাচারকারী চক্রের সদস্য মো. এরশাদকে (৩৫)। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, বান্দরবানের আলীকদম থেকে সজারু ও লজ্জাবতী বানর দুটি ধরা হয়েছে। সেগুলো বান্দরবান থেকে কয়েক ধাপে হাতবদল হয়ে কক্সবাজারে পৌঁছে। পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্য এরশাদের দায়িত্ব ছিল সেগুলো চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছে দেওয়া। সেখানে আবারও হাতবদল হয়ে পৌঁছানোর কথা ছিল ঢাকায়।’

‘কিন্তু আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্যপ্রাণীগুলো উদ্ধার করে পাচারের হাত থেকে রক্ষা করেছি। এর আগেও আমরা তিন দফা পাচারের সময় বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছি। বনের প্রাণী বনেই থাকবে। বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার আইনে নিষিদ্ধ। পাচারকারী সিন্ডিকেটে আরও কারা আছে, আমরা তাদের বিষয়ে তদন্ত করছি। এরশাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে’- বলেন ওসি আতিকুর।

উদ্ধার সজারু ও লজ্জাবতী বানর চট্টগ্রামে বন বিভাগের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তা মাহমুদ হোসাইনের মাধ্যমে আবারও জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বন্যপ্রাণী গবেষকদের দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশে লজ্জাবতী বানর ‘বিলুপ্তপ্রায়’ বন্যপ্রাণী হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়া আইইউসিএন এর লাল তালিকায় সংকটাপন্ন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই প্রাণীটিকে। বাংলাদেশে পাহাড়ি চিরসবুজ বনে কিছু লজ্জাবতী বানরের দেখা মেলে। অনেক সময় লোকালয়ে গাছের উঁচু শাখায়ও এদের দেখা মেলে।

বিজ্ঞাপন

সজারু বাংলাদেশে এখন ‘বিপন্নপ্রায়’ বন্যপ্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। ইঁদুর গোত্রের কাঁটাযুক্ত এই প্রাণী আগে দেশের গ্রামাঞ্চলে এবং বনজঙ্গলে দেখা গেলেও এখন শুধু চিরসবুজ পাহাড়ি বন ও সুন্দরবনে কিছু টিকে আছে।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

টপ নিউজ লজ্জাবতী বানর সজারু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর