সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্র, মহাসমাবেশ মঞ্চে শেখ হাসিনা
১১ নভেম্বর ২০২২ ১৫:০১
ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুব মহাসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ সমাবেশস্থলের আশপাশের সড়কসহ এলাকাগুলো যুব-জনতার সমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। পরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে সকাল ১০টার পর থেকে আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশে যোগ দিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যুব জনতার স্রোতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে যুবলীগ। দুপুর আড়াইটা থেকে যুব মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা দল বেঁধে বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে মহাসমাবেশস্থলের দিকে আসেন।
মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তৈরি টি-শার্ট, ক্যাপ পরিধান করে উৎসবমুখর আমজ সৃষ্টি করেছে। ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, ভুভুজেলাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েও নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যোগ দেন।
১১ নভেম্বর যুবলীগের ‘যুব মহাসমাবেশ’এ সারাদেশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি লোক সমাগম হবে মনে করেন সংগঠনের নেতারা। ক্যাসিনোসহ নানামুখী ভাবমূর্তির সংকট কাটিয়ে উঠতে সংগঠনের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসে যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশের হাতে নেতৃত্ব আসে।
যুবলীগ একটি মাল্টিক্লাস সংগঠন। এখানে কেবল ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিশ্রুতিশীল নেতারাই শুধু নয়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিশ্রুতিশীল যুবকদের মিলন ঘটে। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। যে কারণে ক্ষমতাসীন সংগঠনের সহযোগী সংগঠন হিসাবে যুবলীগের সাংগঠনিক পরিচয়ে কেউ কেউ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, যা দায় বর্তায় সংগঠনটির নেতৃত্বের ওপর। তাই গত কংগ্রেসে সংগঠনের ভাবমূর্তির সংকট কাটিয়ে উঠতে যুবলীগের মতো সৃষ্টিশীল নির্ভীক নেতৃত্ব উপহার দেওয়া হয়।
এ ধারাবাহিকতায় এবার সংগঠনের নেতারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে গা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। করোনা মহামারি সংকটে মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে, যা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস