রাজীব গান্ধীর ৬ হত্যাকারীর মুক্তি
১১ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৪১
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ৬ হত্যাকারীকে মুক্তি দিয়েছে সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট। ৩৩ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন তারা। এর আগে গত মে মাসে আরেক আসামিকে মুক্তি দিয়েছিলেন আদালত। ফলে রাজীব হত্যা মামলার সকল আসামিই মুক্তি পেলেন।
গত মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিজস্ব ক্ষমতাবলে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার ৭ম অভিযুক্ত পেরারিভালানকে মুক্তি দেয়। এবার একই ক্ষমতাবলে আরও ৬ অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হলো। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধীসহ ২১ জনের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, ২০১৮ সালে তামিলনাড়ু সরকার অভিযুক্তদের মুক্তি দিতে রাজ্য গভর্নরকে সুপারিশ করেছিল।আদালত আরও জানিয়েছে, আসামিদের প্রত্যেকেই তিন দশকের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন অসুস্থতাতেও ভুগছেন। সবদিক বিবেচনা করেই তাদের মুক্তি দেওয়া হলো।
মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন, নলিনী শ্রীহরন, আরপি রবিচন্দ্রন, সান্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিভি নাগারথনার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মে মাসে মুক্তি পাওয়া এ জি পেরারিভালানের মামলা বিবেচনা করে এই আদেশ দেয়।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে একটি নির্বাচনী সভায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন। হামলাকারী প্রত্যেকেই লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম বা এলটিটিই সদস্য। এ হামলায় খালিস্তানি জঙ্গিদেরও সম্পৃক্ততা ছিল। ২০০৬ সালে শ্রীলংকার তামিল টাইগাররা রাজীব গান্ধীকে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে।
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ২০০০ সালে নলিনীর মৃত্যুদণ্ডর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে আদালত। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালানসহ অন্য তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে দেয়।
সারাবাংলা/আইই