Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এই ১৪ বছরের দেশ, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২২ ২০:২২

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ১৪ বছরের (আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকাল) বাংলাদেশ; বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে এখন আর আন্তর্জাতিকভাবেও কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। তাই যাদের নেতা হচ্ছে খুন, মানি লন্ডারিং ও অবৈধ অস্ত্র চোরাকারবারের আসামি তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা শোভা পায় না।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। সারাদেশের যুব-জনতার উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের যুব মহাসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের সড়ক ও এলাকাগুলো যুব-জনতার সমুদ্রে পরিণত হয়।

বিজ্ঞাপন

দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আয়োজনে ছিল সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও। কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের কণ্ঠে গানসহ কয়েকটি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে সকাল ১০টার পর থেকে আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশে যোগ দিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যুব জনতার স্রোতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী যুবলীগ। দুপুর আড়াইটা থেকে যুব মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

সুবর্ণজয়ন্তীতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যুবলীগ গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এই উন্নয়নের কাছে সারা বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে একটা বাঁচার সম্ভাবনা পেয়েছে, স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কারণ এই দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে চাই। এই ক্ষেত্রে তরুণরাই হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তারুণ্যেই সমৃদ্ধি। ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার আমরা তরুণদের জন্যই উৎসর্গ করেছি।’

শেখ হাসিনা তার কারণ তুলে ধরে বলেন, ‘তরুণ সমাজেই পারে দেশকে গড়ে তুলতে। একটি কথা মনে রাখতে হবে, অনেকে আমাদের সমালোচনা করছেন। নানা কথা বলছেন, উন্নয়ন নাকি চোখেই দেখে না। এখন চোখ থাকতে যদি কেউ অন্ধ হয় তাকে তো কিছু দেখানো যায় না। তারা কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যবহার করছে। সবই তো আওয়ামী লীগের দেওয়া। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে মোবাইল ফোন জনগণের হাতে তুলে দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলে কী করেছে? জিয়াউর রহমান এরশাদ খালেদা জিয়া সবারই তো একই ইতিহাস। ১৮/১৯টি ক্যু হয়েছে বাংলাদেশে। হাজার সৈনিক অফিসার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। সেই সঙ্গে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।’

সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান যুবলীগ নেতা মৌলভী সৈয়দসহ অনেককে হত্যা করেছে সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া শত শত সেনা অফিসার বিমান বাহিনীর অফিসার হত্যা করেছে, তাদের পরিবারও লাশ পায়নি। ঠিক এদেরও লাশ আত্মীয় স্বজন পায়নি। আর খালেদা জিয়া এসে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে হত্যা করেছে। ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের যেমন ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রক্ষা করেছে ওই অপারেশন ক্লিন হার্টে যারা হত্যা করেছে তাদেরও ইনডেমনিটি দিয়ে গেছে। অর্থাৎ খুনিদের লালন-পালন করা এটি ওদের চরিত্র।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যাদের নেতৃত্বে আজকে বিএনপি চলে তারা কে? জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতের কারণে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত। তার দশ বছরের সাজা হয়েছে। সে হলো বিএনপির নেত্রী। আর তার পরিবর্তে যাকে দিয়েছে সে তো আরও একধাপ উপরে। আমরা দেখি বিএনপির অনেক নেতা মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে, লুটপাটের কথা বলে, দুর্নীতির কথা বলে। তারেক জিয়া- তার শাস্তি হয়েছে মানি লন্ডারিংয়ের কেসে। তার কেসে আমেরিকা থেকে এফবিআই’র লোক এসে বাংলাদেশে সাক্ষী দিয়ে গেছে। তারেক জিয়ার শাস্তি হয়েছে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায়। মানি লন্ডারিং কেসে সাত বছর সাজা, ২০ কোটি জরিমানা। আর গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী তার জন্য সে সাজাপ্রাপ্ত। যাদের নেতাই হচ্ছে খুন, মানি লন্ডারিং, অবৈধ অস্ত্র চোরকারবারির আসামি তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা শোভা পায় না।’

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় বাজেটের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বাজেটের দেওয়ার সক্ষমতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘উন্নতি না হলে এত বাজেট আমরা দিতে পারলাম কী করে? আমরা বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুব সমাজ গড়ে তুলতে চাই।’

তরুণ যুব সমাজের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে তার সরকারের মেয়াদে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছিল, চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। কানাডার ফেডারেল কোর্ট রায় দিয়েছে পদ্মাসেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। আবার কানাডার ফেডারেল কোর্টে আরেকটি রায় আছে, সেটি কী? বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন কানাডার ফেডারেল কোর্টই সেই রায় দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। গৃহহীন থাকবে না। আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করেছি, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালীন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কাজেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না, সেই লক্ষ্যে তাদেরকে ঘর করে দিচ্ছি।’

গৃহহীন মানুষকে ঘরে করে দেওয়ার জন্য যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। করোনাকালীন মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুবলীগের জন্য আমার আহ্বান থাকবে, আমি বলেছি- তরুণের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। আজকে যুবকদের কী করতে হবে? দেশগড়ার কাজে মনোযোগী হতে হবে। যেমন করোনা মোকাবিলায় কোনো উন্নত দেশও দিতে পারেনি, বিনা পয়সায় আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। বিনা পয়সায় টেস্ট করেছি। কোনো উন্নত দেশও দিতে পারেনি। ঠিক তেমনিভাবে আমাদেরকে দেশের সেবা করতে হবে, মানুষের সেবা করতে হবে। সেজন্যই যুব সমাজকে অনুরোধ করবো, যেহেতু ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন। যার ফলে বিশ্ব বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যেগুলো আমদানি করে আনতে হয় সেগুলো এখন অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আমাদের পরনির্ভরশীল থাকলে হবে না আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। তাই আমি আহ্বান করেছি, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে।’

যুবলীগের নেতাকর্মীদের অতীতের ন্যায় সামনের দিনেও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নিজের গ্রামে যান, নিজের জমি চাষ করতে হবে। অন্যের জমিতেও যেন উৎপাদন হয় সেই ব্যবস্থাটা প্রত্যেকটা যুবলীগকে করতে হবে। যখন সারা বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি, বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। তার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, মাদক দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার জন্য, এ সব থেকে যেন যুব সমাজ দূরে থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কোনো মতেই যেন সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ বা দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। তার জন্য যুবলীগের প্রতিটা নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, কাজ করতে হবে। যুব সমাজের মাঝেও সেই চেতনা গড়ে তুলতে হবে। সেই চেতনায় বাংলাদেশের উন্নতি হবে। কারণ উৎপাদন বৃদ্ধি মানেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।

আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকেই চেয়েছিল শ্রীলংকা হবে, এটি হবে-সেটি হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে। হয়নি। ইনশাআল্লাহ হবেও না। কিন্তু আমাদের কাজ করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২১ বছর পর আমরা যখন সরকারে আসি বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাই। মাঝখানে আট বছর বিএনপি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ২০০৯’এর নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করি। এই ১৪ বছরে বাংলাদেশ; বদলে যাওয়া বাংলাদেশ উন্নত বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে এখন আর আন্তর্জাতিকভাবেও কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। আজকে প্রত্যেকে বাংলাদেশের জন্য সবসময় এটি বলে বাংলাদেশে এত ঘাত-প্রতিঘাত এতকিছুর পরও আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির আমলে কী ছিল, আজকে রিজার্ভ নিয়ে তারা কথা বলে। ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম ঠিক তার আগে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। রিজার্ভ ছিল ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। আর সেখানে আমরা করোনাকালীন সময়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত উঠেছিলাম। আমরা করোনার টিকা দিয়েছি। বাইরে থেকে খাবার-তেল আনতে হচ্ছে। তার ওপর দুইটা বছর আমাদের কোনো ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আসেনি। দুই বছর পর যখন বিশ্ব উন্মুক্ত হয়েছে, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আসছে। আমাদের রিজার্ভ তো ব্যবহার করতেই হবে। তার মধ্যে আট বিলিয়ন আমরা আলাদাভাবে বিভিন্নখাতে বিনিয়োগ করছি। কারণ শুধু রিজার্ভ জমিয়ে রাখলে হবে না, সেটিকে কাজে লাগাতে হবে। আজকে আমরা নিজেদের টাকায় বিমান কিনেছি। সেই টাকা আমরা বিমানকে লোন দিয়েছি। বিমান আমাদের দুই শতাংশ সুদে সেই ডলার ফেরত দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পায়রা নদী ড্রেজিং আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে করছি। নইলে এই টাকা বিদেশি ব্যাংক থেকে নিতে হতো। সেখানে আমাদের ডলার সুদসহ সেই টাকা ফেরত দিতে হতো। আজকে আমরা নিজেদের ব্যাংক থেকে নিচ্ছি, নিজেদের রিজার্ভ থেকে ব্যবহার করছি। তার ফলে আমাদের টাকা ঘরের টাকা ঘরে থাকছে। সুদের টাকাটাও আমাদের ঘরে থাকছে। সেটিও অপচয় হচ্ছে না। এইভাবে আমাদের টাকা আমাদের দেশের জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করছি। অর্থনীতিকে গতিশীল কা আমাদের লক্ষ্য।’

যারা ক্ষমতায় ছিল দুর্নীতি লুটপাট করে হাজার হাজার কালো টাকা কামাই করে বিদেশে যেয়ে এখন নানা ষড়যন্ত্র করছে। আমার কথা হচ্ছে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা এই অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা বলেও দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

যুবলীগের নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘একটি আদর্শ নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যুবলীগের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সেটিই হবে সকলের প্রত্যয় ঘোষণা, সেটিই হবে সকলের প্রতিজ্ঞা।’

যুব মহাসমাবেশের মূল পর্ব পরিচালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ যুব সমাবেশ শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর