‘দেশ গঠনে কারিতাসের ভূমিকা প্রশংসনীয়’
১২ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৩৯
ঢাকা: একাত্তরের যুদ্ধের পর দেশ গঠনে কারিতাসের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার নটর ডেম কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান হয়।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কারিতাস মানে ভালোবাসা। এ ভালোবাসা মানবতার জন্য। যা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য। বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচনে অসাধারণ অগ্রসর হয়েছে। দেশ আর এখন পরনির্ভরশীল নয়। কারিতাস শুধু আর্থ-সামাজিকভাবে কাজ করেনি, অবকাঠামো উন্নয়নেও কাজ করেছে। কারিতাস একটি সফল এনজিও।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ, ওএমআই। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি। এছাড়াও অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, আরমা দত্ত, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মন্সিনিয়র মেরিনকো এন্তলোভিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে, গণসাক্ষরতা অভিযোনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী, কারিতাসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ব্রাদার লরেন্স ডায়েস, কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও প্রমুখ।
সকাল ৯টায় এক আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সুচনা হয়। এরপর জাতীয় পতাকা ও কারিতাস পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন সহকারে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উন্মুক্তকরণ, স্টল উদ্বোধন, জুবিলি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান, কারিতাস পদক প্রদান, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়।
প্রায় দুই হাজার মানুষের অংশগ্রহণে কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর জাতীয় পর্যায়ের সমাপনী অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠে এক মিলনমেলা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ৩টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে কারিতাসের কার্যক্রমের ওপর তিনটি গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। তৃতীয় পর্বে কারিতাস কর্মীদের পরিবেশনায় দেশের উন্নয়নে কারিতাসের অবদান তুলে ধরা হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম