নর্থ সাউথের ট্রাস্টি কাশেমের জামিন বাতিল, রেহেনার বহাল
১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৩২
ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের অপর সদস্য রেহেনা রহমানের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নিয়মিত আপিল দায়ের করতে বলেছেন আদালত।
রোববার (১৩ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুদকের পক্ষে দুই ট্রাস্টি জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়।
গত ১০ নভেম্বর সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে দুই শর্তে জামিন দেন হাইকোর্ট।
শর্তগুলো হলো- তারা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না।
ওইদিন আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছিলেন, দুটি শর্তে তাদের জামিন দিয়েছেন। একটি হলো দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না। এর আগে পৃথক আবেদনে ২ আগস্ট তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২২ মে তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে তারা কারাবন্দি রয়েছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আসামিরা হলেন—তৎকালীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ