Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ১১ ইয়াবা কারবারির কারাদণ্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ নভেম্বর ২০২২ ২০:২৯

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আরও ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন।

রোববার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরিফুল আলম ভুঁইয়া এই রায় ঘোষণা করেছেন বলে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানিয়েছেন।

দণ্ডিত ১১ জনের মধ্যে ৮ জনের প্রত্যেকেকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— মো. মকতুল হোসেন, মো. নূর, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল খালেক ওরফে বুদইন্যা, মো. জানে আলম, মো. লোকমান, মো. এনায়েতুল্লাহ ও নুরুল মোস্তফা। তারা সবাই কারাগারে আছে।

আরও তিন আসামিকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— মো. মোজাহার মিয়া, আব্দুল নূর ও আব্দুল জলিল। এদের মধ্যে শুধু মোজাহার মিয়া কারাগারে আছে। বাকি দু’জন শুরু থেকে পলাতক।

খালাস পাওয়া ছয়জন হলেন— আহমদ ছফা, আবুল কাশেম, আমির হোসেন, নুর আলম, কফিল ও মানিক। এদের মধ্যে হাজতে থাকা আহমদ ছফাকে আর কোনো মামলায় গ্রেফতার বা সাজা না হলে ‍মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি পাঁচজন শুরু থেকেই পলাতক আছে।

রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে আদালতে হাজির থাকা ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বাকিদের বিরুদ্ধে সাজামূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল ভোরে গভীর সাগরে এফভি মোহছেন আউলিয়া নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ ইয়াবাসহ আটজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে একই চক্রের আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) অমল চন্দ বাদী হয়ে নগরীর পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলায় গ্রেফতার ১০ জন এবং পলাতক মায়ানমারের তিন নাগরিক শুক্কুর, লাল ও মগ সেন্সুকে আসামি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ মোট ১৭ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে মায়ানমারের তিন নাগরিকের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হলেও তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে না পারায় অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে।

২০২০ সালের ১০ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আদালতে। মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে রাষ্ট্রপক্ষ।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

ইয়াবা কারবারি চট্টগ্রাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর