উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলর বাবা ও ভাইয়ের ওপর হামলা
১৩ নভেম্বর ২০২২ ২১:৫২
রংপুর: নগরীর হারাগাছে মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আব্দুর সামাদ মিয়া এবং ভাই খাইরুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় হারাগাছ থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার পাশে গতকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কিশোররা গা ঢাকা দিয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন- রিদয় (১৮), বিজয় (২৫) ও রিয়াদ (১৮)। এছাড়া আরও ১৮ থেকে ২০ জন অজ্ঞাত নামে মামলা করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কাউন্সিলর আব্দুর সামাদ মিয়ার মেয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে টেইলার্সের প্রশিক্ষণে যাতায়াতের সময় স্থানীয় কিছু বখাটে প্রায়ই উত্যক্ত করত। প্রতিদিনের মতো গতকাল শনিবারও প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত রিদয় ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করে। উত্যক্তের কথা ভুক্তভোগী তার ভাই খাইরুলকে জানালে অভিযুক্তদের শাসন করেন তিনি। এসময় উত্যক্তকারীরা খাইরুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এরপরই গতকাল শনিবার সন্ধায় বখাটে রিদয় (১৮), বিজয় (২৫), রিয়াদ (১৮)’সহ অজ্ঞাত আরও ১৮ থেকে ২০ জন কিশোর একত্রিত হয়ে পৌর কাউন্সিলর আব্দুর ছামাদের দোকানের সামনে গালাগালিজ করে। এ সময় প্রতিবাদ করেন খাইরুল। এতে কিশোররা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করেন। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে কাউন্সিলর বাবা আব্দুর সামাদকেও আহত করেন। তাদের উদ্ধার করে হারাগাছ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী খাইরুল বলেন, ‘বখাটেরা আমাকে এবং বাবাকে মারপিট করে দোকান থেকে ব্যবসার এক লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।’
পৌর কাউন্সিলর আব্দুর সামাদ বলেন, ‘বখাটেরা আমার এবং ছেলের শরীরে ও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করেছে। আমি মেয়েকে উত্যক্তের বিচারের পাশাপাশি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে হারাগাছ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কিশোররা গা ঢাকা দিয়েছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সারাবাংলা/এনএস