Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেবাপ্রার্থীকে ‘গলাধাক্কা’, ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৪৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: গলা ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের হয়েছে। বাদীর অভিযোগ, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণের জন্য নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গায় অধিগ্রহণ করা ‘বিরোধপূর্ণ’ ভূমির ক্ষতিপূরণ নিয়ে তথ্য জানার জন্য গেলে তাকে হেনস্থা করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন হেমায়েত হোসেন নামে নগরীর হালিশহরের এক ব্যক্তি।

আদালত মামলা গ্রহণ করে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাইপূর্বক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী এনামুল হক।

মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদ, ভূমি সার্ভেয়ার আব্দুল মোমেন, সার্ভেয়ার ইমাম হোসেন গাজী, মোক্তার হোসেন ও আবু কায়সার সোহেল এবং অফিস সহকারী বেলায়েত হোসেন বুলু।

বাদীর আইনজীবী এনামুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘দক্ষিণ পতেঙ্গা মৌজায় অধিগ্রহণ করা কিছু ভূমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা বিচারাধীন। ভূমির প্রকৃত মালিকের সঙ্গে হেমায়েত হোসেনের রেজিস্টার্ড চুক্তি হয় এই মর্মে যে, মামলাসহ সকল বিরোধ নিজ খরচে তিনি সম্পন্ন করবেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উভয়ে ভাগ করে নেবেন। এ হিসেবে হেমায়েত হোসেন এক কোটি টাকারও বেশি মামলা সংক্রান্তে খরচ করেন।’

‘কিন্তু অধিগ্রহণ বাবদ সরকারী টাকা যখন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদের কাছে এসেছে, তখন ভূমির মালিক উল্টে যান। তিনি গোপনে মামলার অপরপক্ষের সঙ্গে আপস করে নিজেই অধিগ্রহণের টাকা দাবি করেন। হেমায়েত হোসেন রেজিস্টার্ড চুক্তিনামা দেখিয়ে এ বিষয়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার কাছে আপত্তি দাখিল করলে তিনি বিষয়টি গ্রাহ্য না করে মালিকের পক্ষ নিয়ে বাদীকে হেনস্থা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।’

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত ১০ নভেম্বর বাদী ক্ষতিপূরণের টাকার হালনাগাদ অবস্থা জানতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় যান। তিনি বিষয়টি জানতে চাইলে এহসান মুরাদ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। এ বিষয়ে তথ্যের জন্য আব্দুল মোমেন তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাকে গালিগালাজ করে বিভিন্ন ধরনের হুমকিধমকি দিয়ে গলা ধাক্কা দিতে দিতে সেখান থেকে বের করে দেন।

মামলার আরজিদে বাদী দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৬১, ১৬৫ (ক), ১৬৬, ১৭১ (ক), ৩৪২, ৩২৩, ৩৮৫, ৩৮৮, ৩৮৯, ৫০৬ (২) এবং ১৪৯ ধারায় অভিযোগ করেছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনকে


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর