Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অনলাইনে পাওয়া যাবে নিম্ন আদালতের রায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৪১

ঢাকা: ছয়টি কোর্ট প্রযুক্তির প্রবর্তন করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এগুলো হচ্ছে- অনলাইনে নিম্ন আদালতের রায় প্রকাশ, সুপ্রিম কোর্ট নামে মোবাইল অ্যাপস, আপিল বিভাগে প্রবেশ পাস, ইংরেজিতে প্রকাশিত রায় বাংলায় অনুবাদ করাসহ ইত্যাদি।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়াম সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক উদ্ভাবিত ছয়টি প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের কর্মকর্তারা প্রজেক্টরের মাধ্যমে ছয়টি প্রযুক্তি সম্পর্কে বর্ণনা ও এর ব্যবহার তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-

সুপ্রিম কোর্ট মোবাইল অ্যাপ: সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট খুবই তথ্যবহুল। আদালতের গঠন, এখতিয়ার ও বিচার পদ্ধতি থেকে শুরু করে অনলাইন কজলিস্ট, আদেশ ও রায়ের অনুলিপি, রায়ের বাংলা অনুবাদ, জামিন আদেশ যাচাই ও জালিয়াতি রোধের কৌশল রয়েছে এই ওয়েবসাইটে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা ও তথ্য হাতের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজে সরবরাহ করার প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। গুগলের প্লেস্টোর থেকে Supreme Court of Bangladesh at App ডাউনলোড করে নিমিষেই তা ব্যবহার করা যাবে।

মনিটরিং কমিটির অনলাইন রিপোর্টিং টুলস: দেশের আটটি বিভাগের অধস্তন আদালতসমুহের মনিটরিংয়ের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন করে বিচারপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

মনিটরিং কমিটির প্রদত্ত ছক অনুসারে অধস্তন আদালত থেকে মামলার পরিসংখ্যান প্রেরণের প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং তথ্য-উপাত্ত দ্রুততার সঙ্গে বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এই মনিটরিং টুলসে। এই অনলাইন প্লাটফর্মটি সুপ্রিম কোর্ট মনিটরিং কমিটির কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি মামলাজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আপিল বিভাগের ডিজিটাল অনুলিপি শাখা: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অনুলিপি শাখার কার্যক্রম আরও গতিশীল ও জনবান্ধব করে তুলতে একটি সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে রায় ও আদেশের অনুলিপি অতি সহজ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। ফলে একদিকে বিচারপ্রার্থী জনগণ সহজেই নকল বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন, অপরদিকে অনুলিপি শাখার কার্যক্রম আরও সহজে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

আপিল বিভাগে প্রবেশ পাস: সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার স্বার্থে আপিল বিভাগের এজলাস ও এর সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক।

এই উদ্দেশে বিচারপ্রার্থী জনসাধারণকে আপিল বিভাগের প্রবেশ পাস অনলাইনে সরবরাহ করার জন্যে একটি প্লাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে জনসাধারণ অতি সহজে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে আপিল বিভাগের প্রবেশ পাস পেতে পারবেন এবং উক্ত পাস ব্যবহার করে আপিল বিভাগে এজলাস সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।

অনলাইনে অধস্তন আদালতের রায় ও আদেশ প্রকাশ: বাংলাদেশের অধস্তন আদালতের বিচারকগণ যেসব রায় বা আদেশ প্রদান করে করে থাকেন, তা অনলাইনে প্রকাশের জন্য একটি প্লাটফর্ম (http://decision.bdcourts.gov.bd) প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অধস্তন আদালতের বিচারকরা অতি সহজেই রায় ও আদেশ আপলোড করতে পারবেন এবং বিচারপ্রার্থী ও সাধারণ জনগণ সহজেই তা অনলাইনে দেখতে পারবেন।

শিশু আদালতের রিপোর্ট এন্ট্রি প্ল্যাটফর্ম: সারা দেশের শিশু আদালত থেকে আইনের সঙ্গে সংঘাতে আসা শিশুদের সংখ্যা এবং উক্ত শিশুদের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থাসহ অন্যান্য পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর চাইল্ড রাইটস্ -এর নিকট প্রেরণের প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিশু আদালতের মামলার পরিসংখ্যান সহজেই বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে। ফলে এটি শিশুবান্ধব বিচার ব্যবস্থা বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক উদ্ভাবিত ছয়টি প্রযুক্তির মধ্যে আজ প্রাথমিকভাবে একটি প্রযুক্তি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে বাকি প্রযুক্তিগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী। এ সময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ কোর্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও

নিম্ন আদালত সুপ্রিম কোর্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর