অর্থ আত্মসাত মামলা: চীনা নাগরিকসহ ২ জনের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
১৬ নভেম্বর ২০২২ ১২:৫৫
ঢাকা: চীনা নাগরিক দি সিনফা নিটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াং ওয়াং চুং ও এমডি খসরু আল রহমানকে পৃথক তিন ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেনন। এ ছাড়া অপর চার আসামিকেও বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এক ধারায় ইয়াং ওয়াং চুং ও খসরু আল রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও দুই কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর একটি ধারায় এক বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মনসুরুল হক ও গোলাম মোস্তফাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখার তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এক্সপোর্ট) আব্দুল ওয়াদুদ খান ও তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীকে এক ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাসাপাশি দুই কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় এক বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
আসামিদের সকল ধারার সাজা একত্রে চলবে। এক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
আসামিদের মধ্যে শেষের তিন জন জামিনে আছেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একটি জাল দলিল তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক রাখে। দীর্ঘদিন ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার নিশ্চয়তা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। ব্যাংকের দায় দেনা বাবদ দুই কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা পরিশোধ না করে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। যাতে ব্যাংক জাল জালিয়াতির কাগজপত্র দিয়ে গ্রহণকৃত বন্ধকী জমি বিক্রি করে তাদের টাকা উদ্ধার করতে না পারে। এর ফলে প্রকৃত জমির মালিকও হয়রানীর শিকার হন।
ওই ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ২৪ জুন মামলাটির একই কর্মকর্তা তদন্ত করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছর ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।
বিচার চলকালীন সময় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/ইআ