গর্ভবতী নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ৩২০ আশ্রয়কেন্দ্র
১৭ নভেম্বর ২০২২ ১১:৩১
ঢাকা: ঘুর্ণিঝড়ের সময় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধিতাবান্ধব ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের গবাদিপশুসহ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় নিতে পারবেন।
জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে গতকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে জলবায়ু সংকট এবং নারী ও মেয়েদের অধিকার রক্ষা’ শীর্ষক বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ফটোগ্রাফার নাইমুজ্জামান প্রিন্সের ছবি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুর রহমান আরও বলেন, ‘ভৌগলিক কারণে দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে আমাদের প্রতি বছর কোনো না কোনো দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ব্যাপকতা প্রমাণ করে দুর্যোগের পূর্ব সতর্কীকরণ ও ঝুঁকিহ্রাসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কৌশল হওয়া উচিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় জনগণের জন্য দুর্যোগপূর্ব পূর্বাভাস ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় সম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকার জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে উপকূলে আমাদের ৭৬ হাজার ১৪০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কেল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কেল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কেল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ সেখানে যেমন আশ্রয় নিতে পারবে, তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদও ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে।’
এ সময় জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান এবং বাংলাদেশে ইউএনএফপি’র (জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল) ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মাসাকি ওয়াতাবি উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস