‘হজযাত্রীদের হয়রানি হলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা’
১৭ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২৭
ঢাকা: হজযাত্রীদের হয়রানি করলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন-২০২২ এবং হজ-ওমরাহ ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হজ ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু উন্নতি হয়েছিল। পরে আট বছর ক্ষমতায় না থাকার সময় হজ নিয়ে অনেক খেলা হয়। আল্লাহর রহমতে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকায় এখন হজ ব্যবস্থাপনা বিশ্বমানে উন্নত করতে পেরেছি, ই-হজ ব্যবস্থা চালু করেছি।’
আমরা হজ এবং ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ প্রণয়ন করেছি। ফলে হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিকার হয়েছে। তাই আগামীতে যারা হজে যাবেন তাদের এ বিষয়ক নিয়মের পাশাপাশি সৌদি আরবের সব আইন সম্পর্কে জেনে নেওয়া ও মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
কোন এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা কিংবা হয়রানি করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে আসুন সমাজ থেকে অন্ধকার, বিভেদ-হানাহানি, কুসংস্কার, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করি এবং ইসলামের অপব্যাখ্যাকারীদের প্রতিরোধ করি।’
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘দেশকে জঙ্গিবাদের হাত থেকে মুক্ত করে পবিত্র ইসলামের শান্তিময় মহিমাকে জাগ্রত রাখার জন্য জিরো টলারেন্স কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আলেম-ওলামাদের সম্পৃক্ত করে প্রত্যেক এলাকায় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে; যাতে কারও ছেলে-মেয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয়। জঙ্গিবাদ দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।’
এসময় ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করে সমাজ থেকে অন্ধকার, অশিক্ষা, বিভেদ, হানাহানি, সন্ত্রাস, কুসংস্কার ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করে এর অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিরোধেরও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা ইসলামের খেদমতের জন্য অনেক কাজ করে গিয়েছেন। আমরা তার উত্তরসূরি হিসেবে ইসলাম ও জনগণের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। জেলা-উপজেলা মিলিয়ে দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছি। যেখানে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও গবেষণা কেন্দ্র থাকবে, যেন ইসলাম ধর্মের মূল কথা মানুষ ভালোভাবে জানতে পারে।’
পরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন ও হজ ফেয়ারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত এই তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলায় প্রায় ১৫০টি স্টল এবং প্যাভিলিয়ন স্থাপন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হজযাত্রীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দাহিলান এবং হাব সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন তসলিম।
সারাবাংলা/এনআর/এমও