১৭ অনুষ্ঠান বাতিল করল আইসিটি বিভাগ
১৭ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৪৬
ঢাকা: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) অনলাইনে আয়োজিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ইভেন্ট অংশগ্রহণ করাসহ আয়োজন করে থাকে। ২০২১-২২ অর্থবছরেও বিভিন্ন রকম আয়োজন অন্তর্ভুক্ত থাকে। কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার বিশেষ কৌশলের আলোকে বিভিন্ন কার্যক্রমে যথেষ্ট ব্যয় সংকোচনসহ নিয়মিত ক্যাম্পেইন, ইভেন্ট বা অনুষ্ঠান আয়োজনে কিছুটা পরিবর্তন আনে।
প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশীপ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আয়োজনগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২, ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো, বিপিও সামিট, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ, ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ১৬তম ইন্টারন্যাশনল চিল্ড্রেনস ফিল্ম ফেসটিভাল, ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি (ডব্লিউসিআইটি), বাংলাদেশ ইন্ডিয়া স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ, জাপান আইটি উইক, চ্যানেল আই ডিজিটাল বাংলাদেশ মিডিয়া এওয়ার্ড, রোডসো দুবাই/লন্ডন ব্রান্ডিং, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো (জাপান, ইন্ডিয়া, ইউকে, আমেরিকা, ইউরোপ অন আইসিটি), কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ) অন বাংলাদেশ, টেক কার্নিভাল, বিজয় দিবসের যান্ত্রিক বহরে ব্রান্ডিং, বুয়েট সিএসই ফেস্ট এবং আইসিটি জাম্বুরী (বাংলাদেশ স্কাউট)।
আয়োজনগুলোর মধ্য থেকে উল্লেখিত কয়েকটি ইভেন্টের জন্য ইতোমধ্যে ইওআই ও ওটিএম আহবান করা হয়েছিল। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইভেন্টসমূহ এ বছর বাতিল করা হয়েছে। তবে জাতীয় দিবস বিবেচনায় “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” সীমিত পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অনুষ্ঠানগুলোর মোট বাজেট ছিল ৭৫ কোটি টাকা। দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করার ফলে ওই বাজেটের মধ্য থেকে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ফেরৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা আয়োজন না করা হলে উক্ত আয়োজনের প্রায় ৩০ কোটি টাকাই ফেরৎ দেওয়া সম্ভব হত।
কিন্তু ২০১৭ সালে আইসিপিসি আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় যার ফলে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ দায়বদ্ধ বিধায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মান অটুট রাখার জন্য প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপ নামে খ্যাত উক্ত আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আইসিটি বিভাগ। বর্তমান বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সামগ্রিকভাবে ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাসকরণে সচেষ্ট।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ