Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জাপান রাষ্ট্রদূত চরম সত্য কথা বলেছেন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৫২

ঢাকা: জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে ‘চরম সত্য কথা’ বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইতো নাওকির মন্তব্য ও তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাপানি রাষ্ট্রদূত যে কথা বলেছেন, চরম সত্য বলেছেন। ভিয়েনা কনভেশন এখন দেখেন। যখন আপনারা এভাবে মানুষ হত্যা করেন, যখন আপনার গুম করে দেন, খুন করে দেন, দিনের ভোট রাতে করেন, ভোট না করে নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন, তখন কোথায় থাকে? বিষয়টা তো ওই জায়গায়।’

গত সোমবার ঢাকায় সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইতো নাওকি বলেন, ‘আমি শুনেছি পুলিশ কর্মকর্তারা আগের রাতে ব্যালট বক্স ভর্তি করেছেন। অন্য কোনো দেশে এমন দ্ষ্টৃান্তের কথা শুনিনি। এভাবে ব্যালট বাক্স ভর্তির ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে। এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার— এটাই আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি।’

এরকম মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে জাপানের দূতকে তলব করার কথা জানিয়ে বুধবার নিজের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের অ্যাম্বাসেডরকে ডেকেছিলাম। তাকে যা যা বলা দরকার, আমরা বলেছি।’

ফেসবুক পোস্টে ভিয়েনা কনভেনশনের একটি ধারা তুলে ধরে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যদি আপনাদের কেউ ভুলে গিয়ে থাকেন: ১৯৬১ সালের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেশনের ৪১ ধারার অনুচ্ছেদ ১ কূটনীতিবিদদের গ্রহণকারী দেশের আইন ও বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয় এবং ওই জাতির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জড়িত হওয়া থেকে সুস্পষ্টভাবে বিরত থাকতে বলে।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসলে ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির চোখ খুলেছে। তারা এখন দেখতে পাচ্ছে যে, বাংলাদেশে কিছু হচ্ছে। বাংলাদেশ তো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। স্পার্টেড পারসেল অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল গ্লোভাল কমিউনিটি— গোটা বিশ্বের একটা অংশ। এখন আর সেই দুনিয়া নেই যে ইচ্ছা করলেই যা খুশি করে যেতে পারে, কেউ কিছু বলতে পারবে না।’

‘এটা (বাংলাদেশ) তো কোনো ক্লোজড কাউন্ট্রি না। লাইক মিয়ানমার অর নর্থ কোরিয়া? তা তো না। এটা তো মোটামুটি ওপেন কান্ট্রি। এখানে যাদের পার্টনারশীপ আছে, এখানে যারা ইনভেস্ট করে, এখানে যারা টাকা পয়সা দেয়, যারা উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত, তারা তো তাদের কথা বলবেই’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘বিএনপি আন্তর্জাতিক মহলগুলোকে প্রভাবিত করছে’— সরকারের এমন ইঙ্গিত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাহলে কী বুঝতে হবে? এটাই বুঝতে হবে আমরা এখন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছি, তাই না? ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি এখন আপনার দিকে চোখ দিতে বাধ্য হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর