Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রাথমিক শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২০ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২৫

হাইকোর্ট

ঢাকা: সারাদেশে জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জাতীয়করণ করা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিকালের ৫০ শতাংশ সময় গণনা করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধাারণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আদালত। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আপিল বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মো. মোতাহার হোসেন সাজু, সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, নিগার সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরসেদ।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, ২০১৩ সালে সরকার সারা দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের চাকরির শর্তাদি নির্ধারণের জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে ‘অধিগ্রহণ করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩’ জারি করেন এবং ওই বিধিমালার ২(গ)-ধারায় শিক্ষকদের কার্যকর চাকরিকাল ৫০ শতাংশ গণনা করার কথা উল্লেখ্য আছে এবং একই বিধিমালার ৯(১)-ধারায় উল্লেখ্য আছে যে ‘কোনো শিক্ষকের নিয়োগ প্রদানের তারিখ হইতে কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে শিক্ষক পদে তাহার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে এবং ওই তারিখের অব্যবহিত পূর্বে নিয়োগ বিধির অধীন শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে ওই শিক্ষকের অবস্থান নির্ধারিত হবে’ ওই ৯(১)-ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে হাইকোর্ট জ্যেষ্ঠতা গণনা করার ক্ষেত্রে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকের অবস্থানকে অবৈধ ঘোষণা করে। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল দায়ের করে।

বিজ্ঞাপন

রোববার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন এবং জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

প্রাথমিক শিক্ষক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর