চোখে স্প্রে করে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ জঙ্গিকে
২০ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৫৩
ঢাকা: ঢাকার নিম্ন আদালত চত্বর থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নূরে আজাদ নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গেটের সামনে থেকে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক ও মইনুল ইসলামকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধ আইনের এক মামলায় আজ শুনানির দিন ধার্য ছিলো। আসামির সংখ্যা ২০ জন। এদের মধ্যে দুই আসামি জামিনে, বাকি আসামিরা আদালতে হাজির হন।
আদালত থেকে পালিয়ে গেল দীপন হত্যায় জড়িত ২ জঙ্গি
মামলার ৬ আসামি শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। অপর ১২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন ২০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান। এরপর আসামিদের আদালত থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মেইন গেইটে এলে হঠাৎ করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পুলিশের চোখে স্প্রে নিক্ষেপ করে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশকে মারধরও করে তারা। এদের মধ্যে পুলিশ সদস্য নুরে আজাদ আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীর ড্রাইভার শিপলু বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে স্যারকে (আইনজীবী) উত্তরা থেকে নিয়ে আসি। এরপর আর কোনো কাজ থাকে না। আদালতের সামনেই বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি হট্টগোল। দেখি কয়েকজন পুলিশের চোখে স্প্রে মারছে। হাতকড়া পড়া ৪ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আহত হয়েও দুই জনকে আটক করে পুলিশ। তবে অপর দুইজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।’
ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, আসামি অনেকেই ছিলো। দু’টি মোটরসাইকেলে ৬ জন এসে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তারা পুলিশের গায়েও হাত তুলেছে। স্প্রে করার কারণে তারা চোখে দেখতে পায় নাই। মোটরসাইকেলে করে আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। আমাদের ডিবি পুলিশ প্রত্যেকটা জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে। আমরা সিটি ক্যামেরা পর্যালোচনা করছি। সবাই কাজ করছে।’
সারাবাংলা/এআই/এমও