ঢাকা: কৃষিপণ্য রফতানির পূর্বশর্ত পূরণে বহু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নত দেশগুলোর মূল বাজারে আমরা কৃষিপণ্য রফতানি বাড়াতে কাজ করছি। রফতানির ক্ষেত্রে সেসব দেশের পূর্বশর্ত পূরণে এরইমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ফুড সেফটি অ্যান্ড এক্সপোর্ট অপরচুনিটি টুওয়ার্ডস ইউএসএ শীর্ষক এক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য দেশে উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। আম রফতানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে। চীন ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রফতানি মূলত গার্মেন্টস নির্ভর। শুধু গার্মেন্টস নির্ভর থাকলে হবে না রফতানিকে বহুমুখী করতে হবে। এ জন্য কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়াতে হবে। কৃষিপণ্যের রফতানির সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে।’
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃষিকে একপাশে সরিয়ে না রাখতে বা প্রান্তিকীকরণে না রাখতে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও রফতানির সম্ভাবনা অপার। সেটিকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ, বিনিয়োগ, সমন্বয় এবং সমন্বিত উদ্যোগ।’
এ বিষয়ে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচার অ্যাটাশে ফ্রান্সিস মেগান, অ্যামচামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. কামাল বক্তব্য রাখেন। দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।