Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কিশোরী ধর্ষণ: বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৩২

হাইকোর্ট

ঢাকা: ধর্ষণের অভিযোগে নীলফামারীর এক কিশোরীর করা মামলা থেকে বিচারিক আদালতে অব্যাহতি পাওয়া এক বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বিনা মূল্যে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে কিশোরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী বদরুন নাহার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

এর আগে গত ২৯ জুন নীলফামারীর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ করা মামলা থেকে বিজিবির এক সদস্যকে অব্যাহতির আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিজিবির ওই সদস্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ১৫ জুন মাকে নিয়ে নীলফামারী থেকে হাইকোর্টে এসে বিচার চায় ওই কিশোরী। ধর্ষণের শিকার জানিয়ে সেদিন কিশোরী আদালতে বলে, ‘আমরা গরিব মানুষ, টাকা-পয়সা নাই। আমি ধর্ষণের শিকার। একজন বিজিবি সদস্য আমাকে ধর্ষণ করেছেন। নীলফামারীর আদালত তাকে খালাস দিয়ে দিয়েছেন। আমি বিচার চাই।’ কিশোরীর বক্তব্য শুনে সেদিন একই বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে কিশোরীর মামলাটি নিতে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে নির্দেশ দেন।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবীর মাধ্যমে ২৬ জুন ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন কিশোরীর মা।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ও দণ্ডবিধির ৩২৮ ধারায় আকতারুজ্জামান নামে বিজিবির এক সদস্যকে আসামি করে ওই মামলাটি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলায় নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে এর বিরুদ্ধে নারাজি দেন মামলার বাদী কিশোরীর মা।

গত ১৭ মে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ও বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

কিশোরী ধর্ষণ পিবিআই বিজিবি সদস্য হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর