ফ্যামিলি কার্ডে টিসিবি পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা
২১ নভেম্বর ২০২২ ১৯:১০
রংপুর: রংপুরের ৭টি পয়েন্টে সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির পণ্য। এদিন জেলার পাঁচ উপজেলা, সিটি করপোরেশনের দু’টি ওয়ার্ডসহ সাতটি এলাকায় সকাল থেকে একযোগে বিক্রি হয় টিসিবির পণ্য। বাজার মূল্যের থেকে কম দামে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল এই তিন পণ্য কিনতে ভিড় করেন ক্রেতারা।
বাজারে মসুর ডাল, চিনি, তেলের দাম প্রতিনিয়ত বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ এখন টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। সকালে নগরির ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাসনা বাজার মাজার এলাকা এবং পূর্ব বটতলা বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রোদ উপেক্ষা করে সারিবদ্ধভাবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য ক্রয় করছেন ফ্যামিলি কার্ডধারীরা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। টিসিবির ৪০৫ টাকার এই প্যাকেজ কম দামে পেয়ে খুশি রংপুরের কার্ডধারী পরিবারের সদস্যরা।
উর্ধ্বগতির বাজারে প্রতি কার্ডধারী ভর্তুকি মূল্যে ৫৫ টাকা দরে এক কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল ও ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল পেয়ে খুশি উপকারভোগীরা।
হাসনা বাজার মাজার এলাকার মর্জিনা খাতুন, পূর্ব বটতলা এলাকার লিমন মিয়া বলেন, ‘৪০৫ টাকার প্যাকেজে এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পেরে খুব উপকৃত হয়েছি। এটা বাজারে কিনতে গেলে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হতো।’
ওয়ার্ডের হাসনা বাজার মাজার এলাকার টিসিবির ট্যাগ অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে মোট ৬২১ জন উপকারভোগীর মাঝে টিসিবির খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হয়েছে। কোনো ধরণের ভোগান্তি ছাড়াই তারা ৪০৫ টাকার প্যাকেজে পণ্য নিতে পেরেছেন।’
অন্যদিকে, কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, টিসিবির ডিলার প্রতিনিধিরা লাইনের বাইরে থেকে পণ্য বিক্রি করছেন।
হাবিবুর রহমান নামে এক যুবক বলেন, ‘সকাল থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি এখনও পাইনি। এখানে কোন নারী-পুরুষের আলাদা লাইন না থাকায় যে যেভাবে পারছে পণ্য নিয়ে চলে যাচ্ছেন।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলারের প্রতিনিধি নাসির হোসেন এবং আনিসুর রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরবিচ্ছিন্নভাবেই পণ্য বিক্রি হচ্ছে। কার্ডধারীদের অনুরোধ করেছি লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নেওয়ার জন্য কিন্তু তারা শোনেনি।’
টিসিবি রংপুর অঞ্চলের উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী (অফিস প্রধান) প্রতাপ কুমার জানান, জেলার সকল উপকারভোগীকে কার্ডের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলবে।
তিনি জানান, জেলায় মোট ২ লাখ ৮৫ হাজার ৩১২ জনকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এসব ভোগ্যপণ্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করবে টিসিবি।
সারাবাংলা/ইআ