Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রিজার্ভ কমে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২১ নভেম্বর ২০২২ ২০:৩৩

ঢাকা: আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় ডলার সংকট চরমে। এরই ধারাবাহিকতায় কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে চার মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করলে এই রিজার্ভ থেকে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে দেশের রিজার্ভ হবে ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। এটি দিয়ে তিন আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে। রিজার্ভের এই পরিমাণ গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে আমদানির জন্য ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করছে সরকার। সরকারি অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে আমদানি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে নতুন এলসি খোলা কমেছে। তবে বাকি বা দেরিতে পরিশোধের শর্তে আগের খোলা এলসির দায় এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমেনি। যে কারণে দিন দিন ডলারের সংকট বাড়ছে। চাপে পড়েছে অর্থনীতি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সরকারের আমদানি দায় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি মাসের ২১ দিনে ৯৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি বিক্রি করেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বিক্রির পরিমাণ ৫৫৬ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেখানে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কিনেছিল প্রায় ৭৯৩ কোটি ডলার।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে যা বাড়ছিল। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে তা বেড়ে হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে আরও বেড়ে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে দেশের রিজার্ভ। এরপর তা বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। তারপর গত কয়েক মাসে ধরে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

আইএমএফ‘র হিসাবে কেন রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার: বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর থেকে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে যা থাকে সেটিই হচ্ছে নেট রিজার্ভের পরিমাণ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের(আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। তাদের হিসাব অনুয়ায়ী, রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার, গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লংটার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে দেয়া ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এসব অর্থ রিজার্ভ থেকে বাদ দিলে আইএমএফ‘র হিসা অনুযায়ী রিজার্ভ ২৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।

সারাবাংলা/জিএস/এনইউ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর