সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের ২৪০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
২১ নভেম্বর ২০২২ ২১:৪৬
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাবেক এমপি পাপিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন দ্রুত বিচার আদালতের পেশকার মিজানুর রহমান।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল-আমিন বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বাবু প্রমুখ।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় মহা সমাবেশ সফল করার লক্ষে গত ১৮ নভেম্বর কামারখন্দে প্রচারপত্র (লিফলেট) বিতরণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রামদা, ছুরি, হকস্টিক, ইট, পাথর, লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
মামলার আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ ও সাবেক সংসদ সদস্য পাপিয়াকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। তারা কৌশলে সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে আসামিদের এলোপাথারি হামলা সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
হামলায় ৫টি মোটরসাইকেল, একটি প্রাডো গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের ২০০২ (সংশোধনী/২০১৪) এর ৪ ও ৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে একই ঘটনায় শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে বিএনপির ২৬ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেছেন কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা।
সারাবাংলা/একে