সাবরিনার প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে আবেদন শুনানি হয়নি
২২ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৫৯
ঢাকা: ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি করেননি আইনজীবী। শুনানি না করায় আবেদনটি নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে সাবরিনার আইনজীবী প্রণব কুমার কান্তি বলেন, আবেদন যেদিন করেছিলাম ওইদিনই আদালত বলেছিলেন কারাগারে প্রথম শ্রেণির কয়েদি মর্যাদা দেওয়ার এখতিয়ার তার নেই। তারপরও আদালত বলেছিলেন, আবেদন যেহেতু করেছেন, শুনানি করেন। এ জন্য আজ আর শুনানিতে যায়নি।
গত ১৭ নভেম্বর সাবরিনার পক্ষে তার আইনজীবী প্রণব কুমার কান্তি তার প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা চেয়ে আবেদন। সাবরিনার উপস্থিতিতে শুনানি করার আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ ২২ নভেম্বর সাবরিনাকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতী পরোয়ানা) জারি করেন।
বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর রণপ কুমার এ তথ্য জানান।
অভিযোগে থেকে জানা যায়, বর্তমান সাবরিনার দু’টি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর।
অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা। বর্তমানে তিমি কারাগারে রয়েছেন।
সারাবাংলা/এআই/ইআ