পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া ইয়াবা বিক্রেতা গ্রেফতার
২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৩:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া দুই ইয়াবা বিক্রেতার মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একইসঙ্গে তার আরও তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি করে ইয়াবা বিক্রেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ছিনিয়ে নেওয়ার চারদিন পর গ্রেফতার মোহাম্মদ হানিফের বাড়ি নগরীর চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট এলাকায়। গ্রেফতার তিন সহযোগীর মধ্যে তার ভাই মোহাম্মদ ইয়াসিনও আছে বলে ডিবি জানিয়েছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বন্দর) শামীম কবির সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে ছিনিয়ে নেয়া মাদক মামলার আসামি হানিফ গত চারদিন ধরে এলাকায় ছিল না। বোয়ালখালী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকার পর মঙ্গলবার রাতে হানিফ ও তার ভাইসহ চারজন ঢাকায় পালিয়ে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসে তল্লাশি করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’
গত শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ হানিফ ও দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং মাদক বিক্রেতাদের সহযোগীরা মিলে পুলিশের ওপরহামলা চালায়। তারা হানিফ ও দেলোয়ারকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ রোকনুজ্জামানের অয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
একপর্যায়ে তারা সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা শুরু করে। তখন পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে আহত হয়ে নাজমা নামে এক নারীর মৃত্যু হয়, যে হানিফের বড় বোন বলে পুলিশ জানায়।
ওই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে দু’টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তৃতীয় লিঙ্গের তিনজন ও হানিফের ভাই-বোনসহ আটজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সোমবার রাতে পুলিশের অয়্যারলেস সেটটি নগরীর চান্দগাঁও থানার মৌলভীবাজার এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ