৩৩ বছরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৪৫
খুবি: আজ ২৫ নভেম্বর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। শিক্ষাকার্যক্রমের ৩২ বছর পূর্ণ করে ৩৩ বছরে পা দিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালের এই দিনে ৪টি ডিসিপ্লিনের ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে দেশের দক্ষিণবঙ্গের এই বিদ্যাপীঠটি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী এবং পাঁচ শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৮ টি ব্যাচ থেকে খুবি থেকে উত্তীর্ণ গ্রাজুয়েট সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। বর্তমানে প্রতি বছর ২৯টি ডিসিপ্লিনের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
প্রতিষ্ঠার ৩২ বছরে গবেষণা ও উদ্ভাবনায় অনেক এগিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১৯ এবং ২০২০ সালে পরপর দু’বার স্পেনের স্কোপাস পরিচালিত জরিপে দেশের মধ্যে উদ্ভাবনীতে প্রথম ও গবেষণায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান লাভ। এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-২০২২’ এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে লাভ করে খুবি।
এছাড়া পরপর দুবার বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান করে নেয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ৫৪ শিক্ষক এ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
বছরের প্রথম দিন থেকেই ক্লাস শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এছাড়া সব শিক্ষা কার্যক্রম একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে থাকে। শুরু থেকেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোন সেশনজট। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশিত হয়।
সন্ত্রাস ও ছাত্ররাজনীতিমুক্ত এই ক্যাম্পাসের কোথাও নেই কোনো কোলাহল, নেই কোনো স্লোগান লেখা বা কোনো রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন। প্রতিষ্ঠার ৩২ বছরেও ঘটেনি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। খুন হতে হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানের গুণাবলী অর্জন ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৩২টি অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। যার সবকটিই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত। বাঁধন, রোটার্যাক্ট ক্লাব, কৃষ্টি, ছায়াবৃত্ত, ক্যারিয়ার ক্লাবের মধ্যে অন্যতম। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন সংগঠনের অনুষ্ঠান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া পহেলা বৈশাখ, পিঠা উৎসব, শিক্ষা সমাপনী, বসন্তবরণ উৎসবে সারাবছর মুখর থাকে ক্যাম্পাস।
বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য এযাবতকালের সর্বোচ্চ ১৪৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার রাজস্ব বাজেট পেয়েছে খুবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘সব সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সামনে এগিয়ে চলেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিশ্বসারণীতে স্থান করে নেবে। সে প্রত্যাশার সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২ এর এই মাহেন্দ্রক্ষণে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
সারাবাংলা/এমও