Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজশাহীতে নৌবন্দর হলে ভারত-বাংলাদেশের লাভ: খায়রুজ্জামান লিটন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ নভেম্বর ২০২২ ২৩:০০

রাজশাহী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী হয়ে পাকশী হয়ে আরিচা পর্যন্ত একটি নৌরুটি ছিল। এই রুট চালু করলে রাজশাহীতে আবারও একটি নৌবন্দর প্রতিষ্ঠা হবে। আর নৌবন্দর চালু হলে দুই দেশই লাভবান হবে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশন আয়োজিত গুণীজন সংর্বধনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৭টি নৌরুট নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই ৭টি নৌরুটের মধ্যে রাজশাহীর এই রুটটিও ছিল। এই রুট চালু করে সারা বছর যদি পদ্মায় নাব্য রাখা যায় তবে উভয় দেশ লাভবান হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই রুট চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নানা পণ্য আনা নেওয়া করা যাবে। পণ্য মুখর হয়ে উঠবে রাজশাহী বন্দর। বিশেষ করে ভারত থেকে আমরা প্রতি বছর কোটি কোটি টন পাথন আমদানি করে থাকি। এই পাথর দিয়ে আমরা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করি। ভারতের পাকুর ব্যান্ডের পাথর আমরা আমদানি করি। এই পাথর আমাদের রাজশাহীর বর্ডার থেকে খুব বেশি দূরে নয়। ভারতের ধুলিয়ান থেকে বিহারের পাকুর খুব বেশি দূরে নয়। এই পাথর যদি আমরা বার্জে করে নদী পথে আনতে পারি রাজশাহীতে খুব সহজে তা ঢাকা পর্যন্ত বার্জে করে পৌঁছে দেওয়া যাবে। এতে করে আমাদের আমদানি ব্যয় ও উৎপাদন খরচ কমবে।’

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এই কাজটি করা খুবই সহজ। সামান্য কিছু স্থানে পদ্মা নদীর ড্রেজিং প্রয়োজন। আপাতত শুধুমাত্র একটি কাস্টমস হাউজ এবং একটি জেটি করলেই এই বন্দরটি চালু করা সম্ভব।’

মেয়র আরও বলেন, ‘রাজশাহী কৃষি প্রধান অঞ্চল। এখানে কৃষিপণ্য নির্ভর শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এখানে একটি পুর্নাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া খুবই দরকার। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলে কৃষি নির্ভর রজশাহীতে এ বিষয়ে গবেষণা হবে। এই ধরনের গবেষণা কৃষিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখবে। কৃষির মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।’

গুণীজন সংবর্ধনা বিষয়ে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘একসঙ্গে এত গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়ার সৌভাগ্য আমরা বেশি পাই না। দেশবরেণ্য গুণীজনেরা দেশের জন্য, জাতির জন্য, স্বাধীনতার মূল স্রোতকে ধরে রাখবার জন্য, সংবিধানকে সমুন্নত রাখবার জন্যে যা যা করেছেন, সেই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তারা তাদের কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।’

সারাবাংলা/একে

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌবন্দর রাজশাহী সিটি করপোরেশন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর