‘বিদেশি দূতরা কোড অব কনডাক্ট না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’
২৬ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৪৬
ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা রাষ্ট্রদূততের সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিদেশি দূতরা কোড অব কনডাক্ট না মানলে শক্তিশালী দেশগুলো চাইলেই ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু শক্তি না থাকায় সে পথে বাংলাদেশ হাঁটতে পারছে না। সময় হলে বাংলাদেশও অ্যাকশনে যাবে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ফোসা) উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক চ্যারিটি বাজার’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা করেন।
বিদেশী দূতরা কোড অব কনডাক্ট মানছেন না, তাদের বক্তব্য বাংলাদেশ কীভাবে নিচ্ছে ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার মতো দেশ তাদের গত নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ২০ থেকে ২১ জন কূটনীতিককে বের করে দিয়েছিল। এ ছাড়া আমেরিকার অভ্যন্তরীন যেসব সংস্থা রাশিয়াকে সহযোগীতা করেছিল বলে মনে করেছে, তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা শক্তিশালী দেশ হওয়ায় এ সকল পদক্ষেপ সহজেই নিতে পারে। আমাদের সেই শক্তি কিংবা সামর্থ্য নেই, তাই আমরা এমন ঘটনা ঘটলেও পদক্ষেপ নেইনি। তবে সময় হলে অ্যাকশনে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের উপদেশ আমাদের প্রয়োজন নেই। তারা আমাদের বলতে পারেন, আমরা শুনতে পারি। একটা সিস্টেম আছে, শিষ্ঠাচার আছে। তারা যদি কিছু বলতে যান, তারা সরকারকে জানাতে পারেন।’
এ দিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ফোসা) উদ্যোগে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক চ্যারিটি বাজার’ উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চ্যারাটি বাজার থেকে আয় করা অর্থ মানুষের কল্যাণে ব্যয় হবে। সেজন্য আমরা গর্বিত।’
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, ফোসার সভাপতি পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব)-এর সহধর্মিণী ফাহমিদা জেবিন সোমা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম, সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ, আমন্ত্রিত অতিথি, ফোসার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফোসা পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও বুটিক পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় করা হয়। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে সংগৃহীত অন্যান্য দেশের পণ্যসামগ্রীও চ্যারিটি বাজারে স্থান পায়। ঢাকার বিদেশি দূতাবাসগুলোর মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, প্যালেস্টাইন, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের দূতাবাসও এই চ্যারিটি বাজারে অংশগ্রহণ করে। ফোসার সামাজিক ও কল্যাণমূলক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চ্যারিটি বাজার থেকে অর্জিত আয় আর্তমানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ