Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুনামগঞ্জে ৩ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ২৬০ শিশু

আল হাবিব, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৭ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৩৮

ছবি: সারাবাংলা

সুনামগঞ্জ: ঠাণ্ডা বাতাস বইতেই সুনামগঞ্জে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এক্ষেত্রে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এর মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে বেশিরভাগ। গত ৩ দিনে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৬০ জন শিশু। এর মধ্যে ঠাণ্ডায় আক্রান্ত এক বছর বয়সী রোগী ৪২ জন এবং ১৪ বছর বয়সী ২১৮ জন। অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সদর হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চিকিৎসকরা জানান, শীতে সব সময়ই ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। রক্ষা পেতে গরম কাপড় ব্যবহার করা জরুরি। ঠাণ্ডা লাগলেই চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভিড়ে ঠাসা। বেডে জায়গা না পেয়ে অনেকে মেঝে ও ওয়ার্ডের বাইরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসময় এক বেড শেয়ার করে তিন থেকে চারজন রোগীকে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। রোগীর চাপ বেশি থাকায় দুর্গন্ধযুক্ত ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে দুই শিশু ওয়ার্ডেই।

বেড না থাকায় ওয়ার্ডের মেঝেতে গাদাগাদি করে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে আছেন অভিভাবকরা, ছবি: সারাবাংলা

বেড না থাকায় ওয়ার্ডের মেঝেতে গাদাগাদি করে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে আছেন অভিভাবকরা, ছবি: সারাবাংলা

হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা জানান, শিশু ওয়ার্ড আছে দুইটি। দুই ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ৮০টি। ওয়ার্ডে (নিওনেটাল ওয়ার্ড) গত তিন দিনে এক বছর বয়সী ৪২ জন এবং শিশু ওয়ার্ডে ১৪ বছর বয়সী ২১৮ জন ভর্তি হয়েছে। তারা সবাই নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।

সুনামগঞ্জের বনগাঁও থেকে এক বছরের রাসেলকে নিয়ে আসা রোগীর অভিভাবক বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে গত তিনদিন ধরে ভর্তি হয়েছি। অন্য আরও দুই শিশু রোগীর সঙ্গে ছেলেকে একই বেডে রেখেছি। বেডে শেয়ার করতে গিয়ে বাচ্চা নিয়ে ভালো করে বসতেই পারছি না।’

অপর এক অভিভাবক বললেন, ‘আমার মেয়ে নিউমনিয়ায় আক্রান্ত। গত সাতদিন ধরে এক বেডে দু’জন শেয়ার করে আছি। দিনে যেমন-তেমন, রাত বসে কাটাতে হয়।’

এক অসুস্থ শিশুকে ইনজেকশন দিচ্ছেন নার্স, ছবি: সারাবাংলা

এক অসুস্থ শিশুকে ইনজেকশন দিচ্ছেন নার্স, ছবি: সারাবাংলা

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনকারী ডা. সৈকত দাস বললেন, ‘জ্বর-কাশি হলেই আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অধিকাংশ শিশু বাড়িতেই সুস্থ্য হতে পারে। আমাদের কাছে রোগী এলে আমরা দেখি নিউমোনিয়াজনিত সমস্যা কি না। নিউমোনিয়া হলেই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়।‘

বিজ্ঞাপন

ওয়ার্ডে বেড সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বেডের তুলনায় হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। সেজন্য চিকিৎসা সেবা দিতে আমাদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এনএস

সুনামগঞ্জ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর