নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি কাশেমের জামিন বহাল
২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৪:০৭
ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেমকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে ১০ নভেম্বর সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। তবে অপর সাবেক ট্রাস্টি রেহানা রহমানের জামিন বহাল রেখেছিলেন।
পাশাপাশি এম এ কাশেমের জামিন নিয়ে দুদকের আবেদন শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সে অনুযায়ী আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হয়।
হাইকোর্টের জামিনাদেশের পরে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছিলেন, দুটি শর্তে তাদের জামিন দিয়েছেন। তা হলো-অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না।
এর আগে গত ২২ মে তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে তারা কারাবন্দি রয়েছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আসামিরা হলেন—তৎকালীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ