প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে চসিকের ১০০ সিসি ক্যামেরা
২৮ নভেম্বর ২০২২ ২১:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভাস্থলের নিরাপত্তায় ১০০ ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে সিটি করপোরেশন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনের ২২তম সাধারণ সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এ তথ্য দেন। নগরীর আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে মেয়রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চসিকের অস্থায়ী শ্রমিক–কর্মচারীদের স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছেন কাউন্সিলররা।
সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামে আগমন ও সমাবেশ উপলক্ষে ইতোমধ্যে নগরীকে বর্ণিলভাবে সজ্জিত করা হয়েছে। জনসভায় আগতদের সুবিধার্থে পানীয় জল সরবরাহ, ভ্র্যম্যমান টয়লেট স্থাপন এবং মেডিকেল টিমসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সভাস্থলের নিরাপত্তার জন্য ১০০ সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।’
সভায় কাউন্সিলররা বলেন, ‘অনেক শ্রমিক–কর্মচারী ২০–২৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন। চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন। তাই চাকরি স্থায়ী করা জরুরি।’
কাউন্সিলরদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেন। তবে এজন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
সাধারণ সভায় অংশ নেওয়া চসিকের কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘অস্থায়ী হিসেবে ২০–২৫ বছর ধরে চাকরি করছেন এমন কর্মীও আছে। কারও কারও চাকরির বয়স আরও বেশি। অনেক কর্মীকে খালি হাতে বিদায় নিতে হয়েছে। বিষয়টি খুবই অমানবিক। স্থায়ীকরণের বারবার দাবি উঠলেও নানা নিয়ম–নীতির অজুহাতে তা পূরণ করা হচ্ছে না।’
সভায় মেয়র স্থায়ীকরণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, ‘স্থায়ীদের সমান কাজ করেও পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধা পাচ্ছেন না অস্থায়ী কর্মীরা। হতাশায় তারা কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলছেন। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠুভাবে নাগরিক সেবা দেওয়ার কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় অস্থায়ী কর্মচারীদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থায়ী করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই স্থায়ী করতে যথাযথ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে।’
এদিকে মেয়র স্থায়ীকরণের পক্ষে অবস্থান জানালেও চসিকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ভিন্নমত দিয়েছেন বলে জানান কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী। উল্লেখ্য, চসিকে বর্তমানে ৮ হাজার ৪০০ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক আছেন। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অস্থায়ী।
সভায় মেয়র ঘোষণা দেন, নগরীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার, গরিব–দুঃস্থ ও কাঁচা ঘরের মালিকদের কোনো গৃহকর পরিশোধ করতে হবে না।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম